পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে
২০২৪ ক্যালেন্ডার ও সরকারি ছুটির তালিকাএই পৃথিবীতে যত মানুষ রয়েছে তাদের সকলেরই কমবেশি জমি রয়েছে। প্রত্যেকটি জমির দলিল থাকে যেই দলিলের মাধ্যমে জমিটি আপনার তা প্রমাণ করতে পারবেন। যার জমির দলিল নেই সেই জমির উপর তার কোন মালিকানা নেই। আমাদের সমাজে সব থেকে বেশি গন্ডগোল বা মারামারি হয় জমি নিয়ে। কারো জমির দলিল ঠিক থাকে না আবার কারো জমি ভাগাভাগি করার সময় গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি হয়। তাই যেকোনো জমির দলিল সঠিকভাবে বের করে রাখা উচিত।
আমাদের মধ্যে অনেকেই পুরাতন দলিল বের করতে জানে না। আবার অনেকে দলিল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকে। আপনারা যারা দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক সহায়ক হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দলের সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক,
খতিয়ান কি
খতিয়ান অর্থ হল জমি জমার হিসাব নিকাশ। জমিজমার হিসাব বলতে মূলত এখানে বোঝানো হচ্ছে যে জমির মালিকানা রক্ষা করার জন্য অথবা রাজস্ব আদায়ের জন্য জমির জরিপ বিভাকৃত যে কোন মৌজার জমির এক বা একাধিক মালিকের নাম, জমির দাগ নাম্বার, ঠিকানা, ভূমির পরিমাণ, জমির এক বা একাধিক মালিকের পিতা-মাতার নাম অথবা স্বামীর নাম এবং ঠিকানা ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয় তখন তাকে খতিয়ান বলে।
প্রত্যেকটি জিনিসের প্রকারভেদ থাকে। জমির খতিয়ান কেও কয়েকটি প্রকারে ভাগ করা হয়েছে। জমির খতিয়ান কে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। নিচে জমির খতিয়ান কে কি কি ভাগে ভাগ করা হয়েছে তা তুলে ধরা হলোঃ
- আর. এস খতিয়ান
- সিটি জরিপ অথবা বি.এস খতিয়ান
- সি.এস খতিয়ান
- এস. এ খতিয়ান
দলিল কত প্রকার
দলিল বলতে বোঝানো হচ্ছে যে কোন চুক্তির উপর লিখিত প্রমাণ। বাংলা ভাষাতে যে কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বা জমি জমা ক্রয়-বিক্রয় অথবা বন্টন এবং হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিল শব্দটি সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি মানুষের জমির দলিল রয়েছে। একজনার সম্পত্তি যখন আরেকজন ব্যক্তি ক্রয় করে থাকে তখন একটি লিখিত চুক্তি হয়ে থাকে এই চুক্তিকেই দলিল বলা হয়। দলিলের মধ্যে পাঁচটি মৌলিক তথ্য থাকে।
এই পাঁচটি মৌলিক তথ্য হলো সম্পত্তির বর্ণনা, গ্রহীতার পরিচয়, দাতার পরিচয়, দলিল সম্পাদনের তারিখ এবং যে সকল ব্যক্তি সাক্ষী থাকবে তাদের পরিচয়। এই পাঁচটি মৌলিক তথ্য প্রত্যেকটি দলিলে থাকতে হবে অন্যথায় সেই দলিল অকার্যকর হিসেবে বাতিল করে দেওয়া হবে। একটি সম্পদের উপর যখন দলিল থাকে তখন সেই সম্পদকে বৈধ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। কোন সম্পত্তির যদি দলিল না থাকে তাহলে সেই সম্পত্তি বৈধ হবে না।
একজন ব্যক্তি তার দলিল সম্পাদন করতে গেলে সরকারকে রাজস্ব বা কর দিতে হবে। শুধুমাত্র সম্পত্তির ক্ষেত্রেই নয় বরং বিয়ের কাবিননামা, ক্রয়ের জন্য লিখিত কার্যাদেশ, যুদ্ধে আত্মসম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দলিল ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে দলিলকে মোট ১৭ ভাগে ভাগ করা হয়। নিচে এই ১৭ প্রকার দলিল এর নাম তুলে ধরা হলোঃ
দানপত্র দলিলঃ যেকোনো সম্প্রদায়ের ব্যক্তি যখন কোন কিছু অন্যকে দান করে তার ওপর যে দলিল লিখিত হয় তাকে দানপত্র দলিল বলে।
সাফকবলা দলিলঃ যখন কোন ব্যক্তি তাহার সম্পদ অন্যের নিকট বিক্রয় করে তখন সেই সম্পত্তির উপর যে দলিল লিখিত হয় তাকে সাফকাবলা অথবা খরিদা দলিল বলা হয়।
হেবা বিল এওয়াজঃ মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা যখন কোন কিছু সন্তুষ্ট হয়ে দান করে এবং সেই দানের ওপর দান গ্রহীতার কোন শর্ত থাকে না তখন তাকে হেবা বিল এওয়াজ বলা হয়।
হেবা দলিলঃ মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা যখন দান করে এবং সেই দানের উপর লিখিত দলিলকে হেবা দলিল বলা হয়। এই দলিল কোন কিছুর বিনিময়ে হয় না।
এওয়াজ দলিলঃ যেকোনো সম্প্রদায়ের অথবা একই বংশের ব্যক্তিরা যখন তাদের সম্পদ একে অপরের সাথে পাল্টাপাল্টি করে তখন সেই সম্পদের উপর লিখিত দলিলকে এওয়াজ দলিল বলা হয়।
আসিয়াত নামা দলিলঃ যখন কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তির একাধিক ভাগীদারের মধ্যে যেকোনো একজনকে অথবা তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে লিখে দেয় তখন সেই দলিলকে অসিয়তনামা দলিল বলা হয়।
বন্টনামা দলিলঃ একই শরিক ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সম্পত্তি বন্টন করে দিলে যে দলিল তৈরি করতে হয় তাকে বন্টন নামা দলিল বলা হয়।
না দাবি দলিলঃ কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তির উপর দাবি না রেখে অন্যকে রেজিস্ট্রি করে দেয় তখন সেই দলিলকে না দাবি দলিল বলা হয়।
উইল দলিলঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিরা যখন তার সম্পত্তি নিজ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রেজিস্ট্রি করে দেয় তখন তাকে উইল দলিল বলা হয়। একজন ব্যক্তি একাধিক উইল দলিল করতে পারে।
বাইনামা দলিলঃ প্রজাদের মধ্যে যখন কেউ রাজস্ব দিতে না পারলে তার জমি নিলামে তোলা হতো এবং যে ব্যক্তি দামে জমি কিনতো তাকে সেই জমির উপর একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হত। সেই সার্টিফিকেট কে বায়নামা দলিল বলা হয়।
রায় দলিলঃ কোন সম্পত্তির উপর যেকোনো কারণে আদালতে নালিশ হলে কয়েকটি সাক্ষী প্রমাণ হলে বিচারক লিখিতভাবে একটি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন তাকে রায় দলিল বলা হয়।
দখলনামা দলিলঃ সম্পত্তি বন্টনের মোকাদ্দমা অথবা শর্ত সাব্যস্তের ওপর জমি দখল করলে যে দলিল তৈরি করা হয় তাকে দখলনামা দলিল বলা হয়।
ডিক্রি দলিলঃ রায়ের মর্মমতে রায়ের আদেশ অংশ সংযোজন করে বাদী- বিবাদী পক্ষের নাম ও ঠিকানা সহ সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে একখানা দলিল আদালতকৃত জারি করা হয় তাকে ডিক্রিদলিল বলা হয়।
আদালত যোগে সাফকাবলা দলিলঃ কোন ব্যক্তি তার সম্পত্তি অন্য কারো নিকট বিক্রয় করতে বায়না বাবদ টাকা গ্রহণ করে আদালতের নিকট নালিশ করার পর আদালতকৃত দলিল সম্পাদন করে সেই ব্যক্তিকে রেজিস্ট্রি করে দিলে তাকে আদালত যোগে সাফকাবলা দলিল বলা হয়।
আরজি দলিলঃ কোন জমির উপর বাদী-বিবাদীর ক্ষেত্রে বিবাদীর বিরুদ্ধে আদালতে যখন অভিযোগ করা হয় সেই অভিযোগ করার জন্য লিখিত দলিল পেশ করতে হয়। এই লিখিত দলিলকে আরজি দলিল বলে।
বায়না পত্র দলিলঃ কোন জমি বা সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা অথবা বিক্রেতার মধ্যে যে চুক্তি সম্পূর্ণ করা হয় সে লিখিত চুক্তিকে বায়না পত্র বলা হয়।
বেনামি দলিলঃ কোন ব্যক্তি তার নিজের জন্য সম্পত্তি খরিদ করতে কোন সমস্যার কারণে তার আত্মীয়স্বজন অথবা বন্ধুদের নামে দলিল তৈরি করলে সেই দলিলকে বেনামি দলিল বলা হয়।
পুরাতন দলিল বের করুন খুব সহজে নিজের মোবাইল দিয়ে
এই পৃথিবীতে যে সকল মানুষের বৈধ সম্পত্তি রয়েছে সেই সম্পত্তির অবশ্যই দলিল রয়েছে। দলিল ছাড়া কোন সম্পত্তিকে বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা হয় না। আবার অনেকে রয়েছে যাদের সম্পত্তির পুরনো দলিল বের করা প্রয়োজন। এই পুরনো দলিল বের করার জন্য অনেকেই ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যায় এবং তাদের অনেক হয়রানের শিকার হতে হয়। বিভিন্ন কারণে আমাদের পুরনো দলিল বের করার প্রয়োজন হয় তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে যখন কারো বাবা মারা যায়।
তখন তাকে তার সম্পত্তির মালিকানা সঠিকভাবে ধরে রাখার জন্য পুরনো দলিল বের করতে হয়। এছাড়াও পুরনো দলিলের তথ্য সঠিক আছে কিনা সেটা যাচাই করার জন্য ও পুরনো দলিল বের করে দেখা লাগে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই পুরোনো দলিল বের করার জন্য ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যায়। তবে আমরা চাইলে খুব সহজেই হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে পুরনো দলিল বের করতে পারব। এর কারণে আমাদের ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যেতে হবে না।
তবে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে খুবই দুঃখের সহিত বলতে হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার কৃতক এমন কোন মাধ্যম নেই যার মাধ্যমে আপনার পুরনো দলিল শিট আকারে বের করতে পারবেন। তবে আপনার দলিল ঠিক আছে কিনা অথবা দলিলের তথ্য কোথাও ভুল আছে কিনা কিংবা কোন তথ্য জানার জন্য মোবাইলের মাধ্যমে আপনার পুরনো দলিল দেখতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই পুরনো দলিল বের করা যায়,
- সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে যে কোন একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে।
- তারপর সেই ব্রাউজারের সার্চ বারে গিয়ে টাইপ করতে হবে '' WEB REGISTRATION''
- এরপর সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটু নিচের দিকে একটু নিচের দিকে স্ক্রল ডাউন করে ''SEARCHING OF DEED'' অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- অপশনে ক্লিক করার পর একটি প্প-আপ উইন্ডো আসবে। সেই প্প-আপ উইন্ডো থেকে '' BY SELLER/ BUYER/ PARTY NAME '' যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে হবে।
- তারপর সেখানে আপনাকে একটা ফর্ম দেওয়া হবে। সেই ফর্মে আপনার NAME, LAST NAME , YEAR, DISTRICT WHERE REGISTERED, SECURITY CODE সমস্ত তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।
- সমস্ত তথ্য পূরণ করার পর সেখান থেকে আপনার নাম এবং আপনার দাগ নাম্বারটা খুঁজে বের করতে হবে।
- এরপর ডান পাশে থাকা ভিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার পুরনো দলিলের সমস্ত তথ্যগুলো দেখতে পারবেন।
জমি রেজিস্ট্রি করার নতুন নিয়ম
পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই জমি কেনাবেচা হয়। আমাদের দেশেও প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে জমি কেনা বেচা হচ্ছে। যখন কেউ অন্য কারো জমি কিনে নেয় তখন সেই জমি রেজিস্ট্রি করতে হয়। জমি রেজিস্ট্রি না করলে সেই জমির উপর তার কোন মালিকানা থাকে না। তাই জমি রেজিস্ট্রি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জমির রেজিস্ট্রি করতে গেলে অনেকেই বিভিন্ন হয়রানি এবং জটিলতার শিকার হয়। তবে জমি রেজিস্ট্রি করতে কি কি তথ্যের প্রয়োজন সেটা জানা থাকলে কোন হয়রানের শিকার না হয়েই জমি রেজিস্ট্রি করা যায়।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জমি রেজিস্ট্রি করতে কি কি তথ্যের প্রয়োজন তা তুলে ধরব। আপনি এই সকল কাগজপত্র নিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা আপনার জমির রেজিস্ট্রি করে দিবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক জমির রেজিস্ট্রি করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে,
- আপনি যে জমি কিনবেন সেই জমির খতিয়ান লাগবে।
- জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ লাগবে।
- উত্তরাধিকার ক্ষেত্রে সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য অবশ্যই উত্তরাধিকার সনদ প্রয়োজন হবে। সেখানে পুরনো ওয়ারিশ সনদ প্রযোজ্য হবে না।
- ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয়ের পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
- ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয়ের জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন অথবা পাসপোর্ট এর কপি লাগবে।
- যদি জমিটি আগে কোথাও বিক্রি হয়ে থাকে তাহলে সেই দলিলের কপি লাগবে।
- এক লক্ষ টাকার বেশি দামের জমি হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতার উভয়ের E-TIN সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
উপরে দেওয়া এই সকল তথ্য এবং কাগজপত্র সঠিকভাবে নিয়ে গিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে জমা দিলে খুব সহজে আপনার জমি রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে।
দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪
আমরা অনেকেই জমির কেনাবেচা করে থাকি। এই জমি কেনাবেচা করার ক্ষেত্রে দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই দলের রেজিস্ট্রেশন ফি জানেন না এবং জানতে চাচ্ছেন। আপনারা যারা দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে জানিয়ে রাখি আমরা চার ধরনের দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে পারব।
এই চার ধরনের দলিল হলঃ
- সাফ কাবলা অথবা বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রেশন।
- বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন।
- বন্টন নামা রেজিস্ট্রেশন।
- হেবা দলিল রেজিস্ট্রেশন।
নিচে এই চার ধরনের দলিলের রেজিস্ট্রেশন খরচ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
সাফ কাবলা দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফিঃ সাফ কাবলা দলিল হল যেকোনো সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল। এই দলিল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সম্পত্তির লিখিত মূল্যের ১ এক ভাগ রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।
বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন ফিঃ বায়নাকৃত সম্পত্তির দলিল রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে সেই সম্পত্তির মূল্য যদি ৫লক্ষ টাকা হয় তাহলে এর রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা। সম্পত্তির মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০০ টাকা। সর্বশেষ ৫০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পত্তির মূল্য হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা।
বণ্টননামা দলিল রেজিস্ট্রেশন ফিঃ বন্টননামা দলিলের রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে যদি সম্পত্তির মূল্য ৩ লাখ টাকা হয় তাহলে রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা, সম্পত্তির মূল্য ১০ লাখ টাকা হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ৭০০ টাকা, সম্পত্তির মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ১২০০ টাকা, সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকা হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ১৮০০ টাকা এবং ৫০ লক্ষ টাকার বেশি হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা।
হেবা দলিল রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হেবা দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা।
সর্বশেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগণ, বিভিন্ন সময় জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আমাদের দলিল প্রয়োজন হয়। আবার এই দলিলের কারণে মানুষকে বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই আমাদের সকলেরই উচিত যে কোন সম্পত্তির দলিল সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখা। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা দলিল সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন। দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে। ধন্যবাদ!
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url