সিলেটের ৮টি দর্শনীয় স্থানগুলো
সিলেটের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা
- হযরত শাহ পরান রহমাতুল্লাহ এর মাজার
- সবুজ পাহাড়
- সিলেট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট
- লালাখাল
- ডাউকি ল্যান্ড বর্ডার
- বিশাল হাওর
- সারি সারি চা বাগান
- সুন্দর পাথরের নদী যার পানি খুবই স্বচ্ছ
- জাফলং জিরো পয়েন্ট
- মায়াবী ঝরনা
- ডাউকি ঝুলন্ত ব্রিজ
শীতকালে সিলেটের দর্শনীয় স্থান
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। আমাদের দেশের ঋতু যেমন বৈচিত্র্যময় তেমনি ঋতু অনুযায়ী দেশের দর্শনীয় স্থানগুলো বৈচিত্র্যময়। আমাদের দেশে প্রত্যেকটি ঋতুতে আলাদা আলাদা পরিবেশ বা জলবায়ু দেখা যায়। তেমনি আলাদা আলাদা ঋতুতে দেশের দর্শনে স্থানগুলোও আলাদা আলাদা রূপ ধারণ করে।বর্তমান বাংলাদেশে দর্শনীয় স্থানে ভরপুর জায়গাগুলোর মধ্যে সিলেট অন্যতম।
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা শীতকালে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। আবার অনেকেই জানতে চায় শীতকালে সিলেটে ভ্রমণ করার মত দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে শীতকালের সিলেটে ভ্রমণ করার জন্য সেরা কিছু দর্শনের স্থান সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। নিচে শীতকালে ভ্রমণ করার মত সিলেটের কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
জাফলংঃ জাফলং কে সিলেটের প্রাকৃতির কন্যা বলা হয়। কেউ যদি সিলেটে ভ্রমণ করতে চায় তাহলে সবার আগে সে জাফলং ভ্রমণ করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে আছে সিলেটের এই জাফলং। এখানে রয়েছে ভারতের টিলা এবং ডাউকি পাহাড় থেকে অনবরত বয়ে চলা জলপ্রপাত।সিলেটের এই জাফলং নামক দর্শনীয় স্থানে সব সময় পানি থাকে। সারা বছর পানি থাকার কারণে আপনি যখন ইচ্ছা জাফলং ভ্রমন করতে পারবেন।
লালাখাল ভ্রমণঃ লালখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত। সিলেটের মধ্যে যে সকল দর্শনে স্থান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো এই লালখাল। লালখাল জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে সেখানকার স্বচ্ছ নীল পানি। ভারতের চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে এই নদীর উৎপত্তি হয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জয়ন্তী পাহাড় থেকে অনবরত জলপ্রপাত বয়ে চলেছে এই লাল খাল এর উপর দিয়ে। তাই এখানে সারা বছর নীল স্বচ্ছ পানি দেখা যায়। এই নীল স্বচ্ছ প্রাণী দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক আসে। আপনি সারা বছরের যে কোন সময় লাল খাল ভ্রমণ করতে পারবেন।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতঃ আমাদের দেশের যে সকল জলপ্রপাতে সারাবছর পানি থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা জলপ্রপাত হলো মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। এখানে সারা বছর পানি থাকার কারণে ভ্রমন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে শীতকালে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের পাশে রয়েছে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক এবং খাসিয়া পল্লীর মত বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। তাই আপনি অনায়াসে শীতকালে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ভ্রমণ করতে পারবেন।
মালনিছড়া চা বাগানঃ সিলেট বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে চা বাগান অন্যতম। আবার সিলেটে যে সকল চা বাগান রয়েছে তাদের মধ্যে মালনিছড়া চা বাগান উল্লেখযোগ্য। এই চা বাগান ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন এবং বৃহত্তম একটি চা বাগান। এছাড়াও মালনিছাড়া চা বাগানের আশেপাশে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হারং,হুরং গুহা, লাক্কাতুরা চা বাগান সহ বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। তাই আপনি চাইলে যে কোন সময় মালনিছড়া চা বাগানে ভ্রমণ করতে পারবেন।
সিলেট পর্যটন পার্ক
সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো
সিলেট হল বাংলাদেশের মধ্যে এমন একটি জায়গা যেখানে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বিনোদন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আবার এই বিনোদনের কথা চিন্তা করলে সবার আগে মাথায় আসে ভ্রমণের কথা। কেননা ভ্রমণের মধ্যে রয়েছে অসম্ভব মানসিক শান্তি। বাংলাদেশে যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে সিলেটে। আজকের এই আর্টিকেলের আমরা আপনাদের সামনে সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরব।
- জুগির কান্দি মায়াবন।
- রাংপানি।
- জাফলং, মালনিছড়া চা বাগান।
- হযরত শাহজালাল(রাঃ) মাজার।
- সংগ্রাম পঞ্জি ঝর্ণা।
- হযরত শাহপরান(রঃ) মাজার।
- জাফলং।
- লালাখাল।
রাংপানিঃ সিলেট শহর থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জয়ন্তপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি এলাকায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই রাংপানি নামক দর্শনীয় স্থানটি অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থানটি মানুষের মনকে আকৃষ্ট করেছে বলে আশেপাশের লোকজন এই স্থানকে শ্রীপুর নাম দিয়েছে। মেঘালয়ের জয়ন্তা পাহাড় থেকে রংহং কং নামক জলপ্রপাত সারাবছর এখানে বয়ে চলেছে।
মালনিছড়া চা বাগানঃ সিলেট শহরে অবস্থিত এই চা বাগান টি বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীন চা বাগান। সবচেয়ে প্রাচীনতম এই চা বাগানটি সিলেট জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত। এই চা বাগানে সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক এখানে আসে।
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারঃ হযরত শাহজালাল(রঃ) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি তথা একজন বিখ্যাত দরবেশ এবং পীর। বর্তমান সিলেটে আগে ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলনা। হযরত শাহজালাল(রঃ) এর হাত ধরে সিলেটে ইসলাম প্রচার হয়। এই বিখ্যাত ব্যক্তির মাজার দেখতে বা আমাদের জিয়ারত করার জন্য অসংখ্য মানুষ প্রতিবছর সেখানে যেয়ে থাকে।
সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণাঃ সংগ্রামপুঞ্জের ঝরনাটি সিলেট জেলার অন্যতম একটি ঝর্ণা। এছাড়াও সিলেটে রয়েছে মাদককুন্ড ঝরনা, পরি কুন্ড ঝর্ণা, সহ আরো বেশ কয়েকটি ঝর্ণা। জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে অল্প কিছু রাস্তা অতিক্রম করলে ভারতের সীমান্তে পড়েছে এই সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা। তবে বাংলাদেশের মানুষেরা চাইলে বিএসএফের পাহারায় এই ঝর্ণার চূড়ায় উঠতে পারবে।
হযরত শাহপরান(রঃ) মাজারঃ হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহ এর মতই একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন হযরত শাহপরান রাহমাতুল্লাহ। হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহ এর ভাগ্নে ছিলেন হযরত শাহপরান রাহমাতুল্লাহ। হযরত শাহপরান রহমাতুল্লাহ ছিলেন একজন বিখ্যাত সাধক পুরুষ। সিলেট শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দক্ষিণ গাছ পরাগনায় খাদিম নগরে খানকা স্থাপন করে তিনি আধ্যাত্মিক সাধনা শুরু করেছিলেন বহু বছর আগে। তারপর তিনি মৃত্যুবরণ করলে তাকে একটি বড় বৃক্ষের নিচে দাফন করানো হয়। এই বিখ্যাত ব্যক্তির মাজারটি দেখার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ সেখানে যেয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
জাফলংঃ জাফলং কে সিলেটের প্রাকৃতির কন্যা বলা হয়। কেউ যদি সিলেটে ভ্রমণ করতে চায় তাহলে সবার আগে সে জাফলং ভ্রমণ করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে আছে সিলেটের এই জাফলং। এখানে রয়েছে ভারতের টিলা এবং ডাউকি পাহাড় থেকে অনবরত বয়ে চলা জলপ্রপাত।সিলেটের এই জাফলং নামক দর্শনীয় স্থানে সব সময় পানি থাকে। সারা বছর পানি থাকার কারণে আপনি যখন ইচ্ছা জাফলং ভ্রমন করতে পারবেন।
লালাখালঃ লালখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত। সিলেটের মধ্যে যে সকল দর্শনে স্থান রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো এই লালখাল। লালখাল জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে সেখানকার স্বচ্ছ নীল পানি। ভারতের চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে এই নদীর উৎপত্তি হয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জয়ন্তী পাহাড় থেকে অনবরত জলপ্রপাত বয়ে চলেছে এই লাল খাল এর উপর দিয়ে। তাই এখানে সারা বছর নীল স্বচ্ছ পানি দেখা যায়। এই নীল স্বচ্ছ প্রাণী দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক আসে। আপনি সারা বছরের যে কোন সময় লাল খাল ভ্রমণ করতে পারবেন।
জাফলং এর দর্শনীয় স্থান
জাফলং হল সিলেটের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুন্দর দর্শনীয় স্থান। জাফলং যতটা সুন্দর ততটাই জনপ্রিয়। জাফলং এর পাথর এবং সৌন্দর্য দেখার জন্য দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসে। সিলেট শহর থেকে জাফলং যাওয়ার পথে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানের দেখা পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের নাম তুলে ধরা হলো যেগুলো সিলেট থেকে জাফলং যাওয়ার পথে আপনারা দেখতে পাবেন।
- হযরত শাহ পরান রহমাতুল্লাহ এর মাজার
- সবুজ পাহাড়
- সিলেট আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট
- লালাখাল
- ডাউকি ল্যান্ড বর্ডার
- বিশাল হাওর
- সারি সারি চা বাগান
- সুন্দর পাথরের নদী যার পানি খুবই স্বচ্ছ
- জাফলং জিরো পয়েন্ট
- মায়াবী ঝরনা
- ডাউকি ঝুলন্ত ব্রিজ
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url