মাদকাসক্তি রচনা ২০ পয়েন্ট এবং মাদকাসক্তি থেকে বাঁচার উপায়
একতরফা ভালোবাসা থেকে মুক্তির সহজ উপায়যখন একটি ব্যক্তি মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায় তখন তাকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকাসক্তি একটি ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। এছাড়াও মাদকাসক্তির কারণে যুবসমাজ ধ্বংস হচ্ছে ফলে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। একজন ব্যক্তি সাময়িক সময়ের মানসিক শান্তি পাওয়ার জন্য মাদক সেবন করে থাকে। আবার অনেকে মজার ছলে প্রথমবারের মতো মাদক সেবন করে এবং সে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।
তাই আমাদের সকলকেই এই মাদকাসক্তি থেকে বিরত থাকা উচিত। আপনাদের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্তি বিরোধী স্লোগান, কবিতা অথবা রচনা খুজতেছেন। আপনারা যারা মাদকাসক্তি বিরোধী স্লোগান, কবিতা অথবা প্রতিকার রচনা খুঁজতেছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক সহায়ক হবে। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক,
মাদকাসক্তি নিয়ে স্লোগান
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ যুবকেরাই মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে আছে। এই মাদকাসক্তি আমাদের দেশে খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইভাবে মাদকাসক্তি বৃদ্ধি পেলে আমাদের রাষ্ট্র ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। তাই আমাদের সকলকেই মাদক আসক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সোচ্চার গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্নভাবে মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন বা প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়।
তাদের মধ্যে একটি হচ্ছে স্লোগানের মাধ্যমে মাদকাসক্তির প্রতিকার। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা মাদকাসক্তি নিয়ে স্লোগান খুঁজতেছেন। আপনারা যারা মাদকাসক্তি নিয়ে স্লোগান খুঁজতেছেন তাদের জন্য নিচে কিছু মাদকাসক্তি বিরোধী স্লোগান তুলে ধরা হলোঃ
মাদকাসক্তি আর নয়,
খেলাধুলার হবে জয়।
মাদককে না বলুন,
পাপমুক্ত জীবন গড়ুন।
মাদকে আসক্ত হবো না,
জাতিকে ধ্বংস করব না।
দেশকে ধ্বংস করব না,
মাদক সেবন করব না।
ভবিষ্যৎ কে সমৃদ্ধ করুন,
তাই মাদককে না বলুন।
মাদকাসক্তি নিয়ে কবিতা
মাদক একটি ভয়ংকর নেশা। এই মাদকের নেশা ধ্বংস করে দিতে পারে একটি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই মাদকবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এক একজন মানুষ একেক রকম ভাবে মাদকের বিরোধীতা করতেছে। তার প্রধান কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে মাদকাসক্তি যে কতটা ভয়ংকর তা মানুষ বুঝতে পারতেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গরা মাদক নিয়ে কবিতা স্লোগান ইত্যাদি রচনা করেছেন।
তারা কবিতা অথবা স্লোগানের মাধ্যমে মাদকের বিরোধীতা করেছেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও মাদকাসক্তি অধিক পরিমাণে বেড়ে চলেছে। আমাদের দেশে প্রায় ৮০ ভাগ যুবক মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে আছে। বর্তমানে আমাদের দেশের সরকার মাদক বিরোধী কঠোর পদক্ষেপ নিলেও মাদকাসক্তি দিন দিন বেড়ে চলেছে।
তাই এই বিশাল সমস্যার সমাধান করার জন্য আমাদের সকলকে এক হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। মাদকাসক্তি প্রতিরোধের জন্য অথবা অন্য যেকোনো কারণেই আপনাদের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্তি নিয়ে কবিতা খুজতেছেন। আপনারা যারা মাদকাসক্তি নিয়ে কবিতা খুজতেছেন তাদের জন্য নিচে বেশ কয়েকটি মাদকবিরোধী কবিতা তুলে ধরা হলোঃ
মাদকে মানুষ মজা পায় কিঞ্চিত সময়ে,
তবে সেই মজা ভয়ঙ্কর হয় পরবর্তী জীবনে।
হারিয়ে যায় স্বপ্ন, হারিয়ে যায় আশা,
ধুলার সাথে মিশে যায় সকল ভালোবাসা।
মাদক একটি আবেগ,
যার ফলে আসে সব দুঃখ দূর্দশা।
মাদকের ফলে হারিয়ে যায়,
একটি মানুষের জীবনের সকল স্বপ্ন ও আশা।
প্রতিটি ধর্মই বলে,
মাদককে কখনো করোনা জয়।
মাদকাসক্তির ফলে দেখতে হয়,
একটি মানুষের জীবনের ধ্বংস এবং ক্ষয়।
মাদকাসক্তি ভুলে যায় মানসিক বিচার,
যার ফলে মাদককে করে নেয় আপন।
ভালোবাসা হীন জীবন তৈরি হয়,
ছেড়ে চলে যায় সকল প্রিয়জন।
মাদককে কখনো প্রশ্রয় নয়,
সকলে মিলে গড়ে তুলুন প্রতিবাদ।
রক্ষা করুন পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র,
সমগ্র বিশ্বের মধ্য থেকে বয়ে নিয়ে আসুন সাধুবাদ।
মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার রচনা
বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র আমাদের দেশই নয় সমগ্র বিশ্বজুড়ে মাদকাসক্তি একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকাসক্তির নীল বিশাল জাল থেকে যুবকরা বেরিয়ে আসতে পারতেছে না। যার ফলে মাদকের প্রতি আসক্তি একটি ভয়ংকর নেশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে লাখ লাখ যুবক মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে আছে। এই মাদকের নেশার ফলে যুব সমাজ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
যেই যুব সমাজের লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রতিবাদের, সংগ্রামের এবং যুদ্ধে জয়ের, সেই যুবসমাজ আজকের মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে তৈরি করেছে দুর্দশা ও হতাশা। আমাদের মধ্যে অনেকেই মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চায়। আপনারা যারা মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য নিচে মাদকাসক্তির কারণ ও প্রতিকার থাকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রথমেই মাদকাসক্তির কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক,
সঙ্গ দোষঃ মাদকাসক্তি দ্রুত বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে এই সঙ্গ দোষ। একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি তার বন্ধুবান্ধব সকলকে নেশায় জড়িয়ে ফেলতে পারে। কথায় আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস এবং অসৎ সঙ্গে নরক বাস। তেমনি অসৎ সঙ্গের কারণে একজন ভালো মানুষ মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যেতে পারে।
কৌতুহলঃ মাদকাসক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে কৌতুহল। আমাদের দেশে অসংখ্য যুবক কৌতূহলবশত মাদক সেবন করে আজ তারা মাদকের আসক্ত হয়ে গিয়েছে। অনেকে মাদকের ভয়াবহতা জেনেও কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে প্রথম বারের মত মাদক সেবন করে এবং পরবর্তীতে মাদকে আসক্ত হয়ে যায় ।
ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবঃ প্রত্যেকটি ধর্মেই মাদক আসক্তির প্রতি সচেতন করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে মাদককে সম্পূর্ণভাবে হারাম করে দেয়া হয়েছে এবং কেউ মাদক সেবন করলে তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তাই যার ধর্মীয় মূল্যবোধ রয়েছে তাই কখনো মাদকে জড়িত হবে না।
হতাশাঃ আমাদের দেশে অসংখ্য যুবক হতাশার কারণে মাদকাসক্তির শিকার হয়। শুধুমাত্র হতাশার কারণে একজন ব্যক্তি তার নিজের উপর থেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং গভীর দুশ্চিন্তার শিকার হয়। এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে মাদকাসক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
পারিবারিক চাপঃ পারিবারিক চাপের কারণে অসংখ্য বেকার যুবক মাদকের সম্মুখীন হয়। অনেক পিতা-মাতা তাদের বেকার সন্তানদের টাকা উপার্জন করার জন্য চাপ দেয়। যার ফলে সে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় এবং মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।
পরিবারের অভ্যন্তরে মাদকের প্রভাবঃ একসময় দেখা যায়, আমাদের দেশের অনেক পরিবারে পিতা-মাতা অথবা বড় ভাই মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে আছে। তাদের দেখে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।
মাদকের সহজলভ্যতাঃ বর্তমান সময়ে মাদকের দাম আমাদের দেশে তেমন বেশি না। অল্প টাকার মধ্যে একজন ব্যক্তি মাদক কিনতে পারে। এই মাদকের সহজলভ্যতার কারণে আমাদের দেশে মাদকে আসক্তির হার বেড়ে চলেছে। মাদকাসক্তির সমস্যার সমাধান না করতে পারলে দেশ এবং রাষ্ট্র ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। তাই আমাদের সকলকে মাদকাসক্তির প্রতিরোধ করতে হবে। নিচে কয়েকটি মাদকাসক্তির প্রতিরোধের উপায় তুলে ধরা হলো;
- মাদকের পরিণাম তুলে ধরা।
- মাদক সেবনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
- যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
- পরিবারের সদস্যদের মাদক আসক্তি সম্পর্কে সচেতন থাকা।
- মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা।
- মাদকের কুফল তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা।
- শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
- ধর্মীয় শিক্ষায় সন্তানদের শিক্ষিত করা।
- মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
মাদকাসক্তি রচনা ২০ পয়েন্ট
আমাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী মাদকাসক্তি রচনা অনলাইনে সার্চ করে জানতে চাই। এছাড়াও অনেকেই মাদকাসক্তি রচনা ২০ পয়েন্টে পেতে চায়। আপনারা যারা মাদকাসক্তির রচনা ২০ পয়েন্টে চাচ্ছেন তাদের জন্য নিচে মাদকাসক্ত রচনা ২০ পয়েন্টে তুলে ধরা হলো;
ভূমিকাঃ যখন কোন এক ব্যক্তি মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায় তখন তাকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকাসক্তি নামটি ছোট হলেও এর ভয়াবহতা অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে অসংখ্য যুবক এই মাদকাসক্তির কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আদিম যুগ থেকেই মাদকাসক্তির প্রচলন হয়ে আসছে। যখন একটি ব্যাক্তি মাদকের নেশায় পড়ে যায় তখন সে সেই নেশা থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। যার ফলে তার জীবনে অন্ধকার ছায়া নেমে আসে।
মাদকাসক্তি কিঃ বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন রকমের নেশাদ্রব্য পাওয়া যায়। যখন একটি ব্যক্তি এই নেশাদকদের মধ্যে আসক্ত হয়ে যায় তখন তাকে মাদকাসক্তি বলা হয়। বাজারে যে সকল মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় তাদের মধ্যে অন্যতম হলোঃ গাঁজা, মদ, আফিম, চরস, মারিজুয়ানা, প্যাথএড্রিন, তারি, বম, ফেনসিডিল ইত্যাদি। মানুষ ক্ষণিকের জন্য তার হতাশা ভুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নেশা দ্রব্য সেবন করে থাকে।
মাদকাসক্তির প্রভাবঃ বর্তমান সময়ে মাদকাসক্তির প্রভাব ব্যাপক ছাড়িয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ গুলো মাদকাসক্তির প্রভাবের কারণে আতঙ্কিত হয়ে আছে। কেননা এই মাদকাসক্তির নেশা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন স্তরের মানুষ মাদকের প্রতি আসক্ত হতে পারে। তবে বিশেষ করে যুবকরা অথবা তরুণরা মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়াতে দেশ এবং রাষ্ট্রের মধ্যে অন্ধকার নেমে এসেছে।
কিছু কিছু মাদকদ্রব্যের দাম বেশি আবার কিছু কিছু মাদকদ্রব্যের দাম অনেক কম। অধিক দামে মাদকদ্রব্য কিনতে গিয়ে টাকা না পাওয়ার ফলে যুবকরা অসৎ পথে টাকা উপার্জন করার চিন্তা-ভাবনা করে থাকে। যার ফলে একটি দেশে দুর্নীতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।
মাদকাসক্তির ক্ষতিকর দিকঃ মাদকাসক্তির ব্যাপক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই মাদকাসক্তি সমগ্র বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর হয়ে আছে। মাদকাসক্তির কারণে বহু পরিবার দারিদ্র্য হচ্ছে। মাদকাসক্তির ফলে মানুষের দেহের অক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। মাদকে আসক্ত ব্যক্তির পরিবার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে মানুষের হৃদপিন্ডের কম্পন বৃদ্ধি পায় ফলে মৃত্যু পর্যন্ত করতে পারে। এছাড়াও মাদকাসক্তি একজন ব্যক্তির জীবনে বয়ে নিয়ে আসে ব্যর্থতা এবং তার ভবিষ্যতকে অন্ধকার করে দেয়।
মাদকদ্রব্যের ব্যবহারঃ এই পৃথিবীতে অসংখ্য ধরনের মাদকদ্রব্য রয়েছে এবং প্রত্যেকটি মাদকদ্রব্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে সেবন করা যায়। এক মাদকদ্রব্য রয়েছে যেগুলো নাকে দিয়ে টানা হয় এবং ধোঁয়ার সাথে গিলে খাওয়া হয়। আবার অনেক মাদকদ্রব্য রয়েছে যেগুলো ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কিছু মাদকদ্রব্য সেবনের বা মাদকদ্রব্য ব্যবহার করার পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের দেশসহ সমগ্র বিশ্বে দিন দিন মাদক আসক্তি বেড়ে চলেছে এমনকি ছাত্রছাত্রীরাও এই নেশায় আসক্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্যের ব্যবহারঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও মাদকদ্রব্যের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। বর্তমানে যুব সমাজের মধ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যাপকতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমাদের দেশে কি পরিমান মাদক সেবনকারী রয়েছে তার সঠিক পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
বর্তমানে আমাদের দেশে মাদকদ্রব্য থেকে সরকার টাকা উপার্জন করে। এক জরিপে দেখা গিয়েছে বর্তমানে আমাদের দেশে ৩৫০ টিরও বেশি লাইসেন্স করা বৈধ মাদকদ্রব্যের দোকান রয়েছে। এই দোকানগুলো সরকার থেকে অনুমোদিত এবং এইসব দোকানে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়।
মাদকদ্রব্যের ধরন বা প্রকারঃ বর্তমান বিশ্বে অসংখ্য ধরনের মাদকদ্রব্য রয়েছে যেগুলো প্রতিনিয়ত মানব সেবন করছে। যে সকল মাদকদ্রব্য রয়েছে তাদের মধ্যে প্রধান মাদকদ্রব্য হচ্ছে নরকাটকসই। এছাড়াও যে সকল মাদকদ্রব্য সমাজে বহুল প্রচলিত তাদের মধ্যে মদ, গাঁজা, আফিম, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, হাসিস, কোকেন, প্যাথি ড্রিন, হেরোইন ইত্যাদি অন্যতম।
তবে গবেষকদের মতে সকল মাদকদ্রব্যের মধ্যে হিরোইন সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাদকদ্রব্য। হেরোইনের দাম ও অন্যান্য মাদকদ্রব্যের তুলনায় বেশি যার কারণে এর নেশায় মানুষ গভীরভাবে আক্রান্ত হয়।
মাদক সেবনের কারণঃ মাদকাসক্তি দ্রুত বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে সঙ্গ দোষ। একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি তার বন্ধুবান্ধব সকলকে নেশায় জড়িয়ে ফেলতে পারে। এছাড়াও সাধারণভাবে সিগারেট বিড়ি খাওয়া থেকে গভীর মাদক দ্রব্য মানুষ আসক্ত হয়ে যায়। মাদক সেবনের আরেকটি কারণ হচ্ছে বেকারত্ব। এই বেকারত্বের কারণে একজন যুবককে পরিবার থেকে অনেক চাপের সম্মুখীন হতে হয় এবং সে হতাশ হয়ে পড়ে।
এই হতাশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য সে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। এই মাদকাসক্তি বর্তমান সমাজের তরুণদের অর্ধ পতন ডেকে এনেছে। এছাড়াও মাদকের প্রতি কৌতূহল, আনন্দের ছলে মাদক দ্রব্য সেবন, ধর্মীয় শিক্ষার অভাব ইত্যাদির কারণেও মানুষ মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।
মাদকের উৎসঃ বর্তমানে বিশ্বের যে সকল মাদকদ্রব্য রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীনতম মাদকদ্রব্য হচ্ছে আফিম। গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল অথবা গোল্ডেন ক্রিসেন্ট হচ্ছে মাদকদ্রব্যের প্রাচীনতম উৎস। আদিম যুগ থেকে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান ছিল আফিম উৎপাদনের প্রধান স্থান। আবার এই আফিম থেকেই তৈরি হয় সর্বনাশা হেরোইন।
বিভিন্ন তথ্যের মতে আর্জেন্টিনা, গোয়াতেমালা, যুক্তরাষ্ট্র, কলম্বিয়া, জামাইকা, প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল, ঘানা, নাইজেরিয়া, কেনিয়া সহ দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের মারিজুয়ানা সহ বেশ কয়েকটি মাদকদ্রব্য উৎপন্ন হয়। বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে যেসব দেশে মাদকদ্রব্য সরকার থেকে অনুমোদিত করে দেওয়া আছে। এছাড়াও হাসিস উৎপন্ন করার জন্য মরক্কো, জর্ডান, পাকিস্তান, নেপাল এবং ভারত অন্যতম।
মাদকদ্রব্য চোরাচালানঃ মাদকদ্রব্যের বিশাল ব্যবসায়িক দিক রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ধনী ব্যক্তি মাদক দ্রব্য দিয়ে ব্যবসা করে ধনী হয়েছে। সাধারণত মাদকদ্রব্য ভারত এবং পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। এই মাদকদ্রব্য দিয়ে ব্যবসা করার সময় চোরা চালানোর কেন্দ্রস্থল হিসেবে শ্রীলংকাকে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের অবস্থান গোল্ডেন ক্রিসেন্ট এবং গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল এর মাঝামাঝি হওয়ার ফলে মাদকদ্রব্য চোরাচরনের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিশ্বব্যাপী মাদকদ্রব্যের ব্যবহার ও প্রতিক্রিয়াঃ মাদক দ্রব্যের বিস্তার সমগ্র বিশ্বের জন্য আতঙ্কজনক হয়ে আছে। মাদকাসক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ জীবনে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এই মাদকাসক্তির বিষাক্ত ছায়াতলে বন্দী হয়ে আছে। এছাড়াও সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতেও মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটেছে।
পরিনামঃ মাদকাসক্তির পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। মাদকাসক্তের কবলে পড়ে আমাদের দেশের যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। একজন কিশোর বা যুবক তার ভবিষ্যতে অনেক বড় স্বপ্ন দেখে থাকে কিন্তু মাদকাসক্তির কারণে সেই স্বপ্ন নিমিষেই ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মাদকাসক্তির ফলে যুবকরা মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এছাড়াও মাদকাসক্তির কারণে অসংখ্য পরিবার দরিদ্র হয়ে পড়ছে এবং মাদকাসক্ত যুবকের উপর থেকে সমাজ এবং দেশের মানুষ আস্থা হারাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মাদক বিরোধী আন্দোলনঃ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদকাসক্তে আতঙ্কিত হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সে ক্ষেত্রে মাদক বিরোধী আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর ১৯৮৭ সালে সমগ্র বিশ্বের মোট ২৩ টি দেশ একত্রিত হয়ে মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে। এছাড়াও যারা মাদক পাচার করে তাদের জন্য কঠিন শাস্তির আইন চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নয় বিশ্বের বিভিন্ন বিভিন্ন দেশ মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে।
এই পর্যন্ত ইরানে মাদক পাচার করার জন্য ৩১ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আমাদের দেশও মাদকবিরোধী আন্দোলনে কাজ করছে। ১৯৯০ সালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে মাদক চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হয় এবং তারপর থেকে খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম সহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে মাদক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
মাদকের নেশা দ্রুত প্রসারের কারণঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ক্ষেত্রে নতুন মাদক সেবীরা দুঃখ এবং হতাশা থেকে মাদক সেবন করে। তারপর তারা মাদকের নেশায় আটকে যায় এবং এই নেশা থেকে বের হতে পারে না। এছাড়াও অনেক দেশে বিপদগামী মানুষ দরিদ্রতার কারণে ধনী হওয়ার জন্য মাদক ব্যবসাকে আপন করে নিয়েছে।
পাশাপাশি কৌতুহলবশত প্রথমবারের মতো মাদক সেবন করা অথবা আনন্দের ছলে প্রথমবারের মতো মাদক সেবন করে পরবর্তীতে এই নেশা থেকে বের হয়ে না আসতে পারার কারণে দ্রুতগতিতে মাদকের নেশা প্রসার হচ্ছে।
মাদকাসক্তি প্রতিরোধ চিন্তাঃ বর্তমান বিশ্বে যে মাদকের বিষাক্ত জাল ছড়িয়ে পড়েছে এটা থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার জন্য বিশেষজ্ঞরা ভাবতেছেন। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে। আবার অনেক দেশে মাদক বিরোধী সংগঠন বা সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্র, বেতার টিভি সহ বেশ কয়েকটি গণ মাধ্যম মাদক বিরোধী জনগণ গঠনে কাজ করছে।
মাদক দমনে সমাজের নেতাদের কর্তব্যঃ মাদকদ্রব্যের আসক্তি বা প্রসার রোধ করার জন্য প্রত্যকটি এলাকার নেতাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ করা উচিত। যে কোন এলাকার নেতারা যদি ওই এলাকাতে মাদক আসক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তাহলে ওই এলাকাতে মাদকাসক্তি অনেক অংশে কমে যাবে।
আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকাঃ একটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে সঠিক আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ করা। এই দায়িত্বটি সরকারের নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর নির্ধারিত হয়ে থাকে। কেননা একটি দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করা সেই দেশের সরকারের দায়িত্ব। তাই সরকারের উচিত মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা।
আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্তব্যঃ বর্তমান বিশ্বের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা আছে। এ সকল সংস্থার উচিত মাদক আসক্তির বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া। এ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহ সচেতন হলে মাদকাসক্তি অনেক অংশে কমে আসবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
প্রতিকারঃ মাদকাসক্তির এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য প্রতিকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। মাদকাসক্তির বিষাক্ত জাল থেকে তরুণ সমাজকে মুক্ত করার জন্য সর্বপ্রথম বেকারত্ব দূর করতে হবে। বেকারত্ব দূর হলে যুবকরা তাদের কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যস্ত থাকবে ফলে তারা বিপথে যাবে না। তারপর শিক্ষা গ্রহণের প্রতি নজর দিতে হবে।
কেননা শিক্ষার প্রসার ঘটলে মানুষের নৈতিক জ্ঞান অর্জিত হবে। ফলে তারা মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ধারণা পাবে এবং মাদকাসক্তি অনেক অংশে কমে আসবে। এছাড়াও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কঠিন শাস্তি প্রদান করতে হবে।
উপসংহারঃ বর্তমান সময়ে মাদকাসক্তি একটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে পরিচিত। প্রত্যকটির দেশের মুনাফা লোভী, ক্ষমতা লোভী, দুর্নীতিবাজ, রাজনীতিবিদ সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই মাদকাসক্তির ভয়াবহ পরিনামের জন্য দায়ী। সবাই মিলে এই ভয়াবহ সমস্যার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এ সমস্যার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে যুব সমাজ এবং রাষ্ট্র ধ্বংসের পথে চলে যাবে। বর্তমানে আমাদের একটি অসুস্থ জীবন ধারা পরিচালিত হচ্ছে। যেদিন আমরা সবাই মিলে মাদক বিরোধী আন্দোলনের সফল হব সেদিন থেকে আমাদের দেশসহ সমগ্র বিশ্বে সুস্থ জীবন ধারণের চেতনা গড়ে উঠবে।
মাদক নিয়ে উক্তি
মাদকাসক্তি একটি ব্যক্তিকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। এছাড়াও যে ব্যক্তি মাদকাসক্ত হয় তার সামাজিক এবং আর্থিক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই ভয়াবহ নেশা নিয়ে পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন উক্তি করেছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই মাদক নিয়ে উক্তি খুজতেছেন। তাদের জন্য কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের মাদক নিয়ে দেওয়া উক্তি তুলে ধরা হলো;
- নেশা এমন একটি ভয়াবহ অবস্থা যেটা তার সামনে যা কিছু পায় সবকিছুই ধ্বংস করে দেয়।
- মাদকাসক্তি কোন দর্শকের ভূমিকা পালন করে না। মাদকাসক্তির ফলে মাদকে আসক্ত ব্যক্তির পুরো পরিবারকেই কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
- শুধু বাস্তবতাকে এড়িয়ে চলার জন্য মাদকের প্রতি নেশাগ্রস্ত হওয়া যাবে না।
- পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নেশা হলো মাদকের নেশা।
- নেশা কোন নেশা দ্রব্যের সাথে হয় না। নেশা হয়ে থাকে কোন একটি অনুভূতিকে লুকিয়ে রাখার জন্য।
- তোমার আগ্রহ বা ইচ্ছা তোমাকে শ্রেষ্ঠ করে তুলবে কিন্তু নেশা তোমাকে মাটিতে মিশিয়ে দিবে।
- প্রত্যকটি নেশার পিছনে থাকে কিছু না বলা ব্যথা যা কেউ জানে না।
- নেশা কখনো মানুষের ভিতরে থাকে না। বরং মানুষই নেশার মধ্যে ডুবে থাকে।
- মাদকাসক্তি এমন একটি অভ্যাস যার ফলে মানুষ তার নিজের উপর নিজেই অত্যাচার করে।
মাদক প্রতিরোধের উপায়
মাদকাসক্তির সমস্যার সমাধান না করতে পারলে দেশ এবং রাষ্ট্র ধ্বংসের সম্মুখীন হবে। তাই আমাদের সকলকে মাদকাসক্তির প্রতিরোধ করতে হবে। নিচে কয়েকটি মাদকাসক্তির প্রতিরোধের উপায় তুলে ধরা হলো;
- মাদকের পরিণাম তুলে ধরা।
- মাদক সেবনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
- যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
- পরিবারের সদস্যদের মাদক আসক্তি সম্পর্কে সচেতন থাকা।
- মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা।
- মাদকের কুফল তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা।
- শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
- ধর্মীয় শিক্ষায় সন্তানদের শিক্ষিত করা।
- মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ, আপনি যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে মাদকের নেশা কতটা ভয়ংকর। তাই আমাদের সকলেরই উচিত মাদকের নেশা থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি যারা মাদকে আসক্ত তাদেরকে মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং মাদকাসক্তি থেকে তাদেরকে বের করে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাদকাসক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনি চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করতে পারেন তাতে আপনার প্রিয়জনদের উপকার হবে। দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে। ধন্যবাদ।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url