ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে
ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে
বাংলাদেশ থেকে অন্য কোন দেশের ভিসার তুলনায় ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে সময় কম লাগে। ইন্ডিয়ান ভিসা তৈরি করার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি ১৫-২০ দিনের মধ্যে ইন্ডিয়ান ভিসা পেয়ে যাবেন। কিন্তু ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনার ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে সময় লাগবে। আবার ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট ঠিক থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃসরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪
আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ যদি ছয় মাসের কম হয়ে থাকে তাহলে আপনি শুধু ইন্ডিয়া নয় পৃথিবীর কোনো দেশের ভিসা পাবেন না । তাই ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট ঠিক থাকতে হবে। আপনাদের মধ্যে যারা ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু ২০ দিনের বেশি সময় হয়ে গেছে তবুও আপনার ভিসা পাননি তাহলে আপনি ভেবে নিবেন আপনার জমা দেওয়া কাগজপত্র ভুল রয়েছে।
শুধু পাসপোর্ট নয় এমনকি জন্ম নিবন্ধন,জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদিতে ভুল থাকলে আপনার ভিসা তৈরি হতে সময় লাগবে। অর্থাৎ ভারতীয় ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে আপনার ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদনের উপর। আপনার আবেদন যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে আপনার ভিসা পেয়ে যাবেন আর যদি আবেদন ভুল হয় তাহলে ভিসা পেতে সময় লাগবে।
আবার ভিসা আবেদনের সকল কাগজপত্র যদি আপনি সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন কিন্তু আপনার ভিসা পেতে সময় বেশি লাগে তাহলে আপনি সেই ভিসা অফিসে যোগাযোগ করবেন। এছাড়াও আপনার ভারতীয় ভিসা সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে চেক করতে পারবেন। আশা করি ভারতীয় ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগবে তা সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।
ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেসিং
ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশ। আমাদের দেশের মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যায়। ভারতে একই সময়ে বর্ষা, শীত,গ্রীষ্ম ঋতু চলতে থাকে যার ফলে ভারতের এক প্রান্তে গরম আর এক প্রান্তে ঠান্ডা। এছাড়াও ভারতে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যার কারণে পর্যটকরা ভারতের ভ্রমন করতে চায়। আবার বহু সংখ্যক মানুষ আমাদের দেশ থেকে ভারতে যায় চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্য।
কিন্তু ভারতে যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন ভারতীয় ভিসা। ভারতীয় ভিসা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। অনেক মানুষ ভারতীয় ভিসা তৈরি করতে গিয়ে বিরম্বনা ও হয়রানের শিকার হয়। তাই আমাদের সকলকেই ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার আগে ভিসা আবেদন এর পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত ।
ভারতীয় ভিসা আবেদন পদ্ধতি নিয়ে আমরা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি ভারতীয় ভিসা আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পন্ন ধারণা পেয়ে যাবেন । চলুন ভারতীয় ভিসা আবেদন পদ্ধতির সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক,
আমাদের বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদনের জন্য ১৫ টি ভিসা আবেদন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো আমাদের দেশের যশোর,ঢাকা,খুলনা,চট্টগ্রাম,রাজশাহী,সাতক্ষীরা,সিলেট,বগুড়া,বরিশাল,নোয়াখালী সহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে অবস্থিত। আপনারা যারা ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করবেন অবশ্যই আপনারা আপনার বিভাগে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আবেদন করবেন।
যেমনঃ রাজশাহী বিভাগের বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধারি মানুষেরা রাজশাহী কিংবা রংপুরের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আবেদন করতে পারবেন। আবার যেসব পাসপোর্ট ধারি মানুষেরা চট্টগ্রাম বিভাগে বসবাস করেন আপনারা চট্টগ্রাম,নোয়াখালী,কুমিল্লা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে অবস্থিত ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আবেদন করতে পারবেন ।
এভাবে আপনারা যে বিভাগের বাসিন্দা সে বিভাগে অবস্থিত ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আবেদন করতে পারবেন । যারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারি রয়েছেন তাদের জন্য ভারতীয় ভিসা আবেদনের কোন ফি প্রয়োজন নেই। আপনি ভারতে কি কাজে যাবেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার ভিসা আবেদন পদ্ধতি। নিচে টুরিস্ট ভিসা,বিজনেস ভিসা এবং মেডিকেল ভিসা আবেদন পদ্ধতি তুলে ধরা হলো;
ভারতীয় টুরিস্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি
ভারতীয় টুরিস্ট ভিসার আবেদনের জন্য কিছু কাগজপত্র লাগবে। সেগুলো হল -
- ভোটার আইডি কার্ড,জন্ম নিবন্ধন অথবা স্মার্ট কার্ড এর ফটোকপি।
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
- যে কোম্পানিতে কর্মরত আছেন সেই কোম্পানির নাম ও ডেজিগনেশন। যদি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয় তার ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কাগজপত্র,শিক্ষার্থী হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড আবার ব্যবসায়ী হলে তার ব্যবস্থা ক্ষেত্রের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। কিন্তু গৃহিনী হলে বাড়তি কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়বে না।
- বিদ্যুৎ বিল অথবা টেলিফোন বিল এর ফটোকপি ।
- পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে নতুন পাসপোর্ট এর সাথে সে পাসপোর্টও জমা দিতে হবে
- আপনি যেদিন ভিসার আবেদন করবেন সেই দিন থেকে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। সাথে অন্তত দুই পাতা সাদা হতে হবে ।
- ২ ইঞ্চি বাই 2 ইঞ্চি সাইজের ছবি লাগবে যার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে
- সর্বশেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর অনলেপি দিতে হবে এবং একাউন্টে কমপক্ষে 20 হাজার টাকা থাকলে ভালো হয়।
- আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে তার প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে ১৫০ মার্কিন ডলার এনডোরস করতে হবে।
- অনলাইন এপ্লিকেশন ফর্ম এর নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারী কে তাদের ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদনকারী কে অবশ্যই নিশ্চিত থাকতে হবে যে তার আগের পাসপোর্ট এর সাথে নতুন পাসপোর্টের সকল তথ্যের মিল আছে । আবেদনপত্র পূরণ করে অবশ্যই .৮ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
- ভারতে শিক্ষার্থী ভিসার উপর আগত ১৮ বছরের নিচের সন্তানের বাবা মায়েরা এন্ট্রি ভিসা আবেদন কেন্দ্রের অধীনে আবেদন করতে পারবেন আবার ১৮ বছরের বেশি বয়সের সন্তানের বাবা-মায়েরা ভারত ভ্রমণের জন্য পর্যটন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভারতীয় মেডিকেল ভিসা আবেদন পদ্ধতি
- প্রথম ভ্রমণের ক্ষেত্রে, ভারতে চিকিৎসা সুবিধা উপভোগের জন্য উপস্থিত ডাক্তারের কাছ থেকে সুপারিশ লাগবে।
- টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ কাগজপত্র (উপরে উল্লেখিত আছে)
- নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে ভারত থেকে মেডিকেল আমন্ত্রণপত্র এবং সব ওষুধপত্র ও পেশা প্রমাণ। স্বীকৃত হাসপাতাল থেকে রোগীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিখিত মূল সনদপত্র লাগবে ।
- হাসপাতালে ভর্তি ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সম্পদের প্রমাণ স্বরূপ ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি এবং ব্যাংক থেকে সচ্ছলতার সনদ লাগবে ।
ভারতীয় বিজনেস ভিসা আবেদন পদ্ধতি
বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে বিজনেসের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাদের ভিসা আবেদনের জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন। সেগুলো হলো-
- বাংলাদেশের স্বীকৃত কোন চেম্বার অফ কমার্স থেকে সুপারহিট চিঠি, ভারতীয় কোন কোম্পানির সাথে হয় শেষ ব্যবসায়িক লেনদেন অথবা নতুন ব্যবসায়ীক লেনদেনের আবেদন পত্র।
- বাংলাদেশ আবেদনকারী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ের নাম ঠিকানা ও যোগাযোগের নাম্বার এবং ভারত থেকে যে কোম্পানি স্পন্সর করেছে তার চিঠি ।
- কোন কোম্পানি অথবা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি অবস্থায় থাকলে ,কর্মস্থান থেকে চুক্তিপত্রের একটি কপি আনতে হবে যেটাতে আবেদনকারীর চুক্তিবদ্ধ হওয়ার তারিখ , অধিষ্ঠিত পদ এবং মাসিক বেতন উল্লেখ থাকবে ।
- টিন সহ ট্রেড লাইসেন্স ফটোকপি এবং সফরের উদ্দেশ্য ও ব্যবসায়িক চুক্তির প্রকৃতি বর্ণনা করে একটি সহায়ক পত্র এছাড়াও বিগত ছয় মাসের আবেদনকারীর কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি ।
- ভারতের কোন বাণিজ্য অথবা মেলায় অংশগ্রহণ করতে বা ঘুরতে গেলে অংশগ্রহণের ধরনের বর্ণনা এবং ফেডারেশনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হতে আমন্ত্রণ পত্র ।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন
পৃথিবীতে যে সকল সুন্দর ও দর্শনীয় স্থানে ভরপুর দেশ রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ভারত। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ভারতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।তেমনি আমাদের দেশ থেকেও অসংখ্য মানুষ যারা পর্যটন প্রেমী তারা ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম দেশগুলোর একটি হওয়ার কারণে সেখানে একই সাথে একই সময়ে শীত,গ্রীষ্ম এবং বর্ষা ঋতু পাওয়া যায়।
প্রকৃতির অপূর্ব নিদর্শন এর সবকিছুই ভারত তার বক্ষে ধারণ করে আছে তাই ভ্রমণ পিপাসুদের ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হয় না । বর্তমান সময়ে ভারতের জিডিপির দর্শনের সাত শতাংশ হলো পর্যটকদের অবদান। এ থেকে বোঝা যায় ভারতে কত পর্যটক ভ্রমণ করে । শুধু আমাদের দেশ না পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকেই ভারতে পর্যটনের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হয়।
টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করার আগে একজন মানুষের প্রয়োজন টুরিস্ট ভিসার আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে থাকা যাতে হয়রানি ও বিরম্বনার শিকার না হতে হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ভারতের টুরিস্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। ভারতের টুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় । নিচে টুরিস্ট ভিসা আবেদনের পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তুলে ধরা হলো ।
- ভোটার আইডি কার্ড , জন্ম নিবন্ধন অথবা স্মার্ট কার্ড এর ফটোকপি।
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
- যে কোম্পানিতে কর্মরত আছেন সেই কোম্পানির নাম ও ডেজিগনেশন। যদি অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি হয় তার ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কাগজপত্র, শিক্ষার্থী হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড আবার ব্যবসায়ী হলে তার ব্যবস্থা ক্ষেত্রের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে কিন্তু গৃহিনী হলে বাড়তি কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়বে না।
- বিদ্যুৎ বিল অথবা টেলিফোন বিল এর ফটোকপি ।
- পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে নতুন পাসপোর্ট এর সাথে সে পাসপোর্টও জমা দিতে হবে
- আপনি যেদিন ভিসার আবেদন করবেন সেই দিন থেকে আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে.৬ মাস থাকতে হবে। সাথে অন্তত দুই পাতা সাদা হতে হবে ।
- ২ ইঞ্চি বাই 2 ইঞ্চি সাইজের ছবি লাগবে যার ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে
- সর্বশেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর অনলেপি দিতে হবে এবং একাউন্টে কমপক্ষে 20 হাজার টাকা থাকলে ভালো হয়।
- আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে তার প্রমাণস্বরূপ কমপক্ষে ১৫০ মার্কিন ডলার এনডোরস করতে হবে।
- অনলাইন এপ্লিকেশন ফর্ম এর নির্ধারিত স্থানে আবেদনকারী কে তাদের ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। আবেদনকারী কে অবশ্যই নিশ্চিত থাকতে হবে যে তার আগের পাসপোর্ট এর সাথে নতুন পাসপোর্টের সকল তথ্যের মিল আছে । আবেদনপত্র পূরণ করে অবশ্যই .৮ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে।
- ভারতে শিক্ষার্থী ভিসার উপর আগত ১৮ বছরের নিচের সন্তানের বাবা মায়েরা এন্ট্রি ভিসা আবেদন কেন্দ্রের অধীনে আবেদন করতে পারবেন আবার ১৮ বছরের বেশি বয়সের সন্তানের বাবা-মায়েরা ভারত ভ্রমণের জন্য পর্যটন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে
আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ ভারতে ঘুরতে যায়। আমরা সকলেই জানি কোন দেশে যেতে চাইলে অবশ্যই সেই দেশের ভিসা প্রয়োজন। উপরের আর্টিকেলে আমরা ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই আর্টিকেলেও আপনাদের সুবিধার্থে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগবে তা ছোট আকারে তুলে ধরব।
এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার জন্য অনুমোদন স্বরূপ ভিসার প্রয়োজন। এ ভিসা তৈরি করার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা যদি আপনি সঠিকভাবে জমা দেন তাহলে খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি আপনার ভিসা পেয়ে যাবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কাগজপত্রের প্রয়োজন,
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
- ভিসার আবেদন পত্র
- ভিসা আবেদনের ছবি লাগানো
- সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা
- যদি পুরনো পাসপোর্ট থাকে সাথে নিয়ে যাওয়া
- যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তাহলে থানায় জিডি করে সে কপি জমা দেওয়া
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং আসল পাসপোর্ট সাথে নিয়ে যাওয়া
- তিন মাসের বিদ্যুৎ, পানি অথবা গ্যাস বিল এর ফটোকপি
- তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- আগে যদি ইন্ডিয়া গিয়ে থাকেন তাহলে সেই ভিসার ফটোকপি
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা খরচ
এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন। যে কোন কিছু তৈরি করার জন্য তার ফি প্রদান করতে হয়। আমাদের দেশ থেকে ইন্ডিয়ায় নানা কারণে মানুষ গিয়ে থাকেন। বিভিন্ন কারণের উপর ভিসা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে যেমনঃ ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা , চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা,শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা,ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য বিজনেস ভিসা ইত্যাদি।
আলাদা আলাদা ভিসার জন্য আলাদা ফ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা যারা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছি তাদেরকে এই ভিসার ফি হিসেবে ৯০০ টাকা প্রদান করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে চান তাহলে আরো বেশি টাকা খরচ করতে হবে।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ
যারা বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় ভ্রমণের জন্য টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে চায় তাদের পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস থাকতে হয়। আবার যারা আগে ইন্ডিয়া ভ্রমণ করেছেন এবং সেই ভিসার মেয়াদ এখনও রয়েছে তাদের কে নতুন করে আবার ভিসা তৈরি করতে হবে কেননা পুরনো ভিসায় ইন্ডিয়ায় ভ্রমণ করা যাবে না। এছাড়াও ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা অফিস জানিয়ে দিয়েছে যে, নতুন করে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা তৈরি করলে তার মেয়াদ হবে ৬ মাস। সুতরাং আপনারা যারা ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করবেন তাদের ভিসার মেয়াদ হবে ৬ মাস।
শেষ কথাঃ
আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারতে যেতে হয়। ভারতে যাওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে যে কাজের জন্য যাবেন তার ভিসা লাগবে। উপরে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা,মেডিকেল ভিসা ও বিজনেস ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি, আপনি ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url