সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৪
অনলাইনে ভিসা আবেদন ২০২৪
বর্তমান সময়ের অনেক যুবকের ইচ্ছা থাকে বিদেশ যাওয়া। কিন্তু পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া বিদেশ যাওয়া সম্ভব নয়। ভিসা হল একটি দেশে থাকার অনুমতি। আপনি যদি ভিসা ছাড়া কোন দেশে প্রবেশ করেন তাহলে আপনি সেই দেশের অবৈধ নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই ভিসা তৈরি করার জন্য দালালের সাথে যোগাযোগ করে ফলে তাদের খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে খুব সহজেই অনলাইনে যে কোন দেশের ভিসার আবেদন করা যায়।
আরও পড়ুনঃ সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪
চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা অনলাইনে ভিসা আবেদন করব এবং তার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের যে সরকারি ভিসা ওয়েবসাইট আছে সেটাতে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও আপনি ক্রম ব্রাউজারে গিয়ে বাংলাদেশ ভিসা লিখে সার্চ করলে তাদের ওয়েবসাইটের লিংক সামনে চলে আসবে।
আপনি সেই লিংকে ক্লিক করলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। তারপর সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন দেশের ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।যেকোনো ভাবেই ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে। এই সকল কাগজপত্র ছাড়া আপনি আপনার ভিসা আবেদন করতে পারবেন না। নিচে ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে ধরা হলো।
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পুরনকৃত আবেদন ফরম।
- পাসপোর্ট।
- ভিসার নির্ধারিত ফি।
- ব্যাংক সলভেন্সি এবং ব্যাংক বিবরণী।
- ইনভাইটেশন লেটার।
- নিজের সম্পদের বিবরণী।
- চাকরের ক্ষেত্রে ছুটির লেটার।
- ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়তে পারে। সেটা দেশ ও তার ভিসার উপর নির্ভর করবে।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইউরোপে যেতে চান। কেউ যেতে চায় কাজের জন্য আবার কেউ যেতে চায় ভ্রমন করার জন্য। আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান বাংলাদেশ থেকে বর্তমান সময়ে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যাবে এবং কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে। কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে তার কারণ বর্তমান সময়ে ইউরোপের দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ মেডিকেল আনফিট হলে করণীয় - ২০২৪
এই আর্টিকেলে আমরা ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা করব। ইউরোপের অনেক দেশেই ভিসা চালু আছে। বর্তমান সময়ে ইউরোপে যেসব দেশে যাওয়া যাবে এবং ভিসা চালু আছে তার তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো;
- পর্তুগাল
- জার্মানি
- ফ্রান্স
- পোল্যান্ড
- স্পেন
- ইতালি
- নেদারল্যান্ড
- হাঙ্গেরি
- লক্সেম বার্গ
- লাটভিয়া
- স্লোভেনিয়া
- সুইডেন
- ডেনমার্ক
- বেলজিয়াম
- আইসল্যান্ড
- গ্রীস
- নরওয়ে
- স্লোভাকিয়া
- মাল্টা
- আইল্যান্ড
- লিতোয়ানিয়া
- লাটভিয়া
- চেক প্রজাতন্ত্র
- সার্বিয়া
- মন্টিনিগ্রো
- বস নিয়া ও হারজে গভিনা
- বুলগারিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- আল্বেনিয়া
- ম্যাসেডোনিয়া
- এন্ডোরা
- সান মেরিনো
উপরে দেওয়া প্রত্যেকটি দেশেরই ভিসা চালু আছে এবং বাংলাদেশ থেকে আপনি যেতে পারবেন। কিন্তু ধীরে ধীরে ইউরোপের ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি ইউরোপে যেতে চান তাহলে ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা দিতে পারেন।
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
সাধারণত বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য অধিক পরিমাণে টাকা খরচ করতে হয়। অর্থাৎ অন্যান্য দেশে যেতে যে টাকা প্রয়োজন হয় তার তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হয়। তাই আমাদের সকলের উচিত টাকা খরচের দিকে একটু খেয়াল রাখা। আমাদের মধ্যে অনেকেই চাই অল্প খরচের মধ্যে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া।
বর্তমান সময়ে ইউরোপের অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে যাওয়ার জন্য তুলনামূলকভাবে কোনটাকে খরচ করতে হয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা সেই সকল দেশ নিয়ে আলোচনা করব যেসব দেশের ভিসা কম খরচে পাওয়া যায়। ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট,স্টুডেন্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে পারবেন।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান তাহলে ভিসার জন্য আনুমানিক ৮-১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। সেই তুলনায় স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসার খরচ অনেক অংশে কম হয়ে থাকে। তবে ইউরোপের কিছু দেশ রয়েছে যেগুলোতে যাওয়ার জন্য ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম খরচ হবে। নিচে সে সকল দেশের নাম তুলে ধরা হলো;
- ফ্রান্স
- নেদারল্যান্ড
- সুইজারল্যান্ড
- পর্তুগাল
- মালটা
- রোমানিয়া
- লিথুনিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
আসলে ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে অধিক পরিমাণে টাকা খরচ করতে হয়। সেই তুলনায় উপরের দেওয়া দেশগুলোতে যেতে কম টাকা খরচ হবে।
কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
আমরা অনেকেই বিদেশ যেতে চাই কিন্তু তার আগে আমাদের জানা উচিত বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশের ভিসা চালু আছে। বিদেশ যাওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ভিসা প্রয়োজন কেননা ভিসা ছাড়া আপনি যে দেশে যাবেন আপনাকে সেই দেশের অবৈধ নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে যার কারণে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা লাগানোর আগে আমাদের জেনে রাখা উচিত যে কোন কোন দেশে বাংলাদেশের জন্য ভিসা চালু আছে। নিচে বাংলাদেশের জন্য যে সকল দেশের ভিসা চালু আছে তাদের তালিকা তুলে ধরা হলো;
- কানাডা
- সৌদি আরব
- জর্ডান
- অস্ট্রেলিয়া
- অস্ট্রেলিয়া
- ফিলিপাইন
- জর্জিয়া
- কেনিয়া
- বেলারুশ
- ব্রুনাই
- মারিশাস
- সুইডেন
- রোমানিয়া
- বাহরাইন
- মরক্কো
- তাওয়ান
- লিবিয়া
- মালেশিয়া
- দুবাই
- বুলগেরিয়া
- কাতার
- অস্ট্রিয়া
- আলজেরিয়া
- পোল্যান্ড
- মেক্সিকো
- মালটা
- হাঙ্গেরি
- জার্মানি
- ফিনল্যান্ড
- ফিজি
- লিথুনিয়া
- নিউজিল্যান্ড
- কোরিয়া
- কুয়েত
- মালদ্বীপ
- ওমান
ওপরে দেওয়া দেশগুলো ব্যতীত আরো অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে বাংলাদেশের জন্য ভিসা চালু রয়েছে। তবে উপরে দেওয়া দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের আলাদাভাবে কুটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের মতে আপনি যদি কাজের জন্য বিদেশ যেতে চান তাহলে উপরে দেওয়া দেশগুলোতে যেতে পারেন।
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৪
যে সকল মানুষ বিদেশ যেতে চায় তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই ইউরোপের কোন দেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। আমরা জানি যে, পৃথিবীর মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো সব থেকে বেশি উন্নত মানের হয়ে থাকে। তাই বেশিরভাগ মানুষেরই ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়া একপ্রকার স্বপ্ন হয়ে থাকে। তবে সেটা যদি সরকারি ভাবে যাওয়া হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।
সাধারণত ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা খরচ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে পারেন তাহলে খুব কম খরচে ইউরোপের যে কোন দেশে যেতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলে ২০২৪ সালে সরকারিভাবে ইউরোপের দেশে যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক,
আমাদের দেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য দালালের হাত ধরে ভিসা তৈরি করে। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হয়। এমনকি বিদেশ যাওয়ার পরও সঠিক কাজ পায় না। আবার এমনও হয় যে বিদেশ যাওয়ার পর কাজ না পেয়ে বসে থাকে। তাই আমাদের সকলেরই উচিত সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার। তবে সরকারিভাবে ইউরোপ দেয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
শর্তগুলো হলোঃ
- সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার কাজের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে।
- তারপর সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
- আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যে পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয় মাস থাকতে হবে। এরপর সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
কোন দেশের ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার নিয়ম ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে ৩ ধরনের ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- গ্রীন কার্ড ভিসা।
ওপরের এই ৩ ধরনের ভিসা নিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো;
- সরকারিভাবে ভিসার আবেদন করতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
- সরকার অনুমোদন আছে এমন ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- আপনি যে কাজের জন্য যেতে চান তার প্রমাণ পত্র।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি।
- স্টুডেন্ট ভিসার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ভাষা দক্ষতা ইত্যাদি প্রয়োজন।
- ভিসার জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র লাগতে পারে।
- ওয়ার্ক পারমিটের জন্য সে কোম্পানির চুক্তিপত্র লাগবে।
- ভিজিট ভিসার জন্য ভ্রমণের উদ্দেশ্য ইত্যাদি ডকুমেন্ট লাগতে পারে।
ভিসা আবেদন করার পর যখন আপনি আপনার ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন তখন অবশ্যই আপনার ভিসাটি অনলাইনে চেক করে দেখবেন। যে আপনার ভিসা সম্পন্ন ঠিক আছে কিনা। ইউরোপের মধ্যেও পর্তুগাল, মালটা, গ্রিস, মেক্সিকো সহ আরো অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে আপনি খুব সহজেই বসবাস করতে পারবেন।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠকগণ, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সহ বেশ কয়েকটি টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি আপনি ইউরোপের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url