কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপে
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় জেনে নিনআজকাল কি আপনি কোন কাজ করতে গেলে লক্ষ্য করছেন আপনার শরীর কাঁপছে? যদি এমনটা হয় তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপতে পারে বা শরীরে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে একজন সচেতন নাগরিকের জানা আবশ্যক। তাই এ থেকে সমাধান পেতে আমাদের লেখাটি সম্পন্ন পড়ুন।
মাঝে মাঝে বা হঠাৎই আমাদের শরীর কাঁপতে থাকে। কিন্তু কি কারনে কাঁপতে পারে তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আপনি যদি কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুলকানি হয়
অনেক সময় আমরা লক্ষ্য করি যে, আমাদের শরীরে উজ্জ্বলতা হারিয়ে উঠেছে। আমাদের ত্বক অনেক বেশি খসখসে মনে হয়। এর পাশাপাশি ত্বকে বিভিন্ন রকম চুলকানি দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে শরীরের কোন একটি ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেওয়া। এখন আপনি যদি ভাবেন কোন ভিটামিনের অভাবে এমনটা হচ্ছে তাহলে বলব যে সেই ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এর সাথে আমাদের ত্বকের সম্পর্ক রয়েছে।
তাই যদি আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ত্বকের শুষ্ক ভাব এবং চুলকানির আরেকটি কারণ হচ্ছে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া। তাই যদি বিভিন্ন ধরনের লোশন অথবা তেল ব্যবহার করার পরেও ত্বক অনেক বেশি খসখসে দেখায় কিংবা ত্বকে চুলকানি হয় তাহলে ধরে নিতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিয়েছে।
তাই যে সকল খাবারের ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকবে সে সকল খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। এখন জেনে নিন, ভিটামিন ডি পাবার জন্য কোন কোন খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
- ভিটামিন ডি পেতে হলে প্রতিদিন ডিম খাওয়া শুরু করুন কারণ ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি উপস্থিত রয়েছে।
- সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন ও টুনা মাছ এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
- ভিটামিন ডি এর আরেকটি উৎস হচ্ছে পনির।
- এছাড়াও আপনি ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে কমলার শরবত খেতে পারেন।
- যেকোনো ধরনের দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দুধ অথবা দই এ সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি উপস্থিত রয়েছে।
- সয়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি উপস্থিত রয়েছে।
- এছাড়াও ভিটামিন ডি এর সবথেকে কার্যকরী উৎস হচ্ছে সূর্যের রোদ। তাই প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা এর মধ্যে ১৫/২০ মিনিট রোদে থাকার চেষ্টা করুন।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়
আমরা আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষ দেখতে পাই যাদের অল্প বয়সেই চুল পেকে গেছে। মাথা ভর্তি চুল কিন্তু অনেক চুলে পাকন ধরেছে। অল্প বয়সেই এমন চুল পাকার কারণ আমরা অনেকেই জানিনা। চুল পেকেছে কিন্তু কেন পেকেছে তা অনেকের জানার বাইরে। এমন অল্প বয়সে চুল পাকার কিছু কারণ রয়েছে। আর সেই কারণেই অল্প বয়সেই চুল পাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে জানুন
চুল পাকার সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে শরীরে ভিটামিনের অভাব। আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাবে দেখা দিবে অল্প বয়সেই চুল পাকতে দেখা যায়। এখন জেনে নিন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায়। যে সকল ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায় তা হল;
- ভিটামিন বি ৭ ও ১২
- ভিটামিন ডি ৩
- ভিটামিন ই
একজন মানুষের শরীরে যদি এই ভিটামিন গুলোর ঘাটতি হয় তাহলে খুব অল্প বয়সেই সেই ব্যক্তির চুল পাকতে দেখা যাই। তাই অবশ্যই যদি অল্প বয়সেই চুল পাকার মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে শরীরে উপরের ভিটামিন গুলোর অভাব দেখা দিয়েছে। যে সকল খাবারে উপরে উল্লেখিত ভিটামিন গুলো উপস্থিত থাকবে সেই সকল খাবার খেতে হবে।
শুধুমাত্র শরীরের ভিটামিনের অভাব দেখা দিলেই যে একজন মানুষের চুল পাকা শুরু করে তা কিন্তু নয়। ভিটামিনের অভাবের পাশাপাশি আরও কিছু কারণ থাকতে পারে যে সকল কারণে একজন মানুষের অল্প বয়সেই চুল পেকে যায়। যেমনঃ
- শারীরিক অসুস্থতা।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা।
- ওষুধের সাইড ইফেক্ট।
- হরমোনের ভারসাম্যহীন।
- জিনগত সমস্যা।
ভিটামিনের অভাব ছাড়াও উপরের সমস্যার কারণেও একজন ব্যক্তির অল্প বয়সেই চুল পাকার মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই অল্প বয়সের চুল পাকার মত সমস্যা দেখা দিলে ধরে নিবেন আপনার উপরের উল্লেখিত সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি সমস্যা রয়েছে। প্রথমে সেই সমস্যা সনাক্ত করুন এবং তা সমাধান করার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার পাকা চুলের সমস্যা আস্তে আস্তে কমে আসছে।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
অনেকেই রয়েছেন যারা কাজ করার সময় শরীরটাকে দুর্বল অনুভব করেন। কোন কাজ শুরু করার পূর্বেই ক্লান্তভাবে অনুভব করেন। এরকম হওয়ার কারণ আপনি কি জানেন। এমন হওয়ার কারণ হচ্ছে শরীরে ভিটামিনের অভাব। আমাদের শরীরে যদি ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় তাহলে আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করে থাকি। এজন্য আমাদের উচিত আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া। আমরা অনেকেই জানিনা কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়।
আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আমরা অনেকটা দুর্বল ভাব অনুভব করি। ভিটামিন বি ১২ আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। এ ভিটামিন আমাদের শরীরের দুর্বলভাব কাটাতে এবং লাল রক্তের কোষ তৈরি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি দেখা দিলে আমাদের শরীরে দুর্বলতার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
যেমনঃ দুশ্চিন্তা করা, রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, বুক ধরফর, কোষ্ঠকাঠিন্য, কোন কিছু ভুলে যাওয়া, বিষন্নতা, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন সি এর মত পানিতে দ্রবণীয়। এটির প্রয়োজন আমাদের শরীরের ফুরিয়ে গেলে তা মূত্রের সাহায্যে দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে।
আমাদের শরীরে ভিটামিন বি এর অভাব দেখা দিলে আমাদের ত্বকের উপর ও প্রভাব পড়ে। আমাদের ত্বক অনেকটা আকাশে রঙের দেখায়। তাই অবশ্যই আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি ১২ সরবরাহ করতে হবে। যে সকল খাবারের ভিটামিন বি ১২ রয়েছে সে সকল খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। যে সকল খাবারে ভিটামিন বি ১২ বেশি থাকে তা হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা ও শ্যামল মাছ, গরু অথবা খাসির কলিজা, ডিম, যে কোন ধরনের দুগ্ধ জাত খাবার, মাশরুম, শস্য ইত্যাদি।
কোন ভিটামিন ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে
আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করি আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ থাকে যাদের ত্বকের রং খুব একটা উজ্জ্বল নয় তাও মনে হয় তাদের ত্বকে প্রাকৃতিক ভাবে একটি উজ্জ্বলতা ফুটে ওঠে। অনেকেই অনেক ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের পরেও সেই রকম উজ্জ্বলতা দেখা যায় না। এরকম উজ্জ্বলতার প্রধান কারণ হচ্ছে তার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন উপস্থিত থাকে।
কিছু কিছু ভিটামিন রয়েছে যে সকল ভিটামিন যদি আমাদের শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকে তাহলে আমাদের ত্বক অনেক বেশি মসৃণ ও উজ্জ্বল দেখায়। আপনিও যদি চান আপনার ত্বক অনেক বেশি মসৃণ এবং উজ্জ্বল দেখাক তাহলে অবশ্যই সেই সকল ভিটামিন যুক্ত খাবার আপনাকে প্রতিদিন খেতে হবে। কোন ভিটামিন ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে তা আলোচনা করলাম।
ভিটামিন এঃ আমাদের ত্বকের খসখসে ভাব এবং কালো ছোপ ছোপ দাগ হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন এ এর অভাব। আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন এ এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে আমাদের চেহারা অনেক বেশি রুক্ষ শুষ্ক দেখায়। তাই যদি সেই রুক্ষ শুষ্ক ভাব এবং কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিটামিন এ যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
আমাদের শরীরে ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলে আমাদের ত্বক অনেক বেশি মসৃণ এবং উজ্জ্বল দেখায়। ভিটামিন এ যুক্ত খাবার হচ্ছে ফলমূল, ব্রকলি, মিষ্টি আলু, চর্বিযুক্ত মাছ ইত্যাদি।
ভিটামিন বিঃ আমরা যখন বাসার বাইরে যাই তখন রোদের তাপে আমাদের ত্বকে অনেক বেশি পোড়া পোড়া ভাব মনে হয়। আর সেই সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে আমরা ব্যবহার করি সানস্ক্রিন। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে সানস্ক্রিন এর অভাব দূর করে ভিটামিন বি।
ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেলে তা আমাদের ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন এর কাজ করে থাকে। ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেলে আমাদের ত্বকের পোড়া ভাব অনেকটা দূর হয়ে যায় এবং ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল দেখায়। ভিটামিন বি যুক্ত খাবার হচ্ছে দুধ, টমেটো, কলিজা, গ্রিন টি, ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি।
ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন সি তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট সমস্যা এবং টানটান ভাব দূর করতে ভিটামিন সি অনেক বেশি সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক অনেক বেশি মসৃণ দেখায়। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার হচ্ছে কমলা, লেবু, টমেটো, কাজী পেয়ারা, সিমের বিচি ইত্যাদি।
ভিটামিন ডিঃ আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় তাহলে আমাদের ত্বক অনেক বেশি ফ্যাকসা এবং বিবর্ণ দেখায়। এর পাশাপাশি আমাদের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক দেখায়। তাই এমন ধরনের সমস্যা দূর করতে অবশ্যই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার হচ্ছে মাশরুম, দুধ, পানির, স্যামন মাছ ইত্যাদি।
ভিটামিন কেঃ ভিটামিন কে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আমাদের ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে ভিটামিন কে অনেক বেশি সাহায্য করে। ডার্ক সার্কেল এর মতো সমস্যা সমাধানে ভিটামিন কে এর ভূমিকা অনেক বেশি। যদি আপনি আপনার ত্বকের এ ধরনের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিটামিন কে যুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন কে যুক্ত খাবার হচ্ছে বাঁধাকপি, পালং শাক, ব্রকোলি ইত্যাদি।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, আমাদের ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে প্রায় সব ধরনের ভিটামিনযুক্ত খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা হবে এমন যেন তাতে প্রতিটি ভিটামিনযুক্ত খাবার থাকে।
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাঁপে
আপনি কোন কাজ করছেন হঠাৎ মনে হচ্ছে আপনার পুরো শরীর কেঁপে উঠেছে। আপনি হয়তো মনে মনে ভয় পাচ্ছেন মনে করছেন এটি কোন বড় ধরনের অসুখের পূর্ব লক্ষণ নয়তো। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা এটিকে কোনরকম গুরুত্ব দেয় না। মনে করে এখন হচ্ছে একটু পরে নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে। এমনটা ভাবা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ শরীর কাঁপা এখন ঠিক হয়ে গেলেও পরে আবার দেখা দিতে পারে।
কারণ আমাদের শরীর কাপার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব। ভিটামিনের অভাবের ফলেই আমাদের শরীর কেঁপে ওঠে। তাই যদি আপনার শরীর যদি কোন কারনে অথবা বিনা কারণে কাপে তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। আর এরকম হওয়ার কারণ হচ্ছে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি। আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিলে শরীর দুর্বল হয় ও শরীর কাপে।
তাই আমাদের শরীর সতেজ ও সুস্থ রাখতে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকা জরুরী। আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতির অনেক বেশি লক্ষ্য করা যাই। ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে যে সকল সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তা হল;
- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।
- দাঁত ভাঙ্গার সমস্যা।
- ক্লান্তি এবং অবসাদ।
- উচ্চ রক্তচাপ।
- বিষন্নতা।
- হাড়ের ফাটল।
উপরের সমস্যাগুলো হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন ডি এর অভাব। তাই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্যের আলো। কিন্তু সব সময় সূর্যের আলোতে যে একই পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় তা কিন্তু নয়। ভিটামিন ডি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় সকাল ১১ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।
তাই যদি শরীরে ভিটামিন ডি সরবরাহ করতে চান তাহলে এই সময়ের মধ্যে কিছুক্ষণ রোদে থাকতে পারেন। এছাড়াও ভিটামিন ডি যে সকল খাবার উপস্থিত রয়েছে তা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
শেষ কথা
আমাদের শরীরের জন্য কোন বিশেষ ভিটামিন নয় প্রতিটি ভিটামিন সঠিক পরিমাণে থাকা আবশ্যক। কোন একটি ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে আমাদের শরীরে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শরীর সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন সকল প্রকার ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং প্রতিদিন কিছুটা সময় হাটাহাটি অথবা ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url