সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪

আপনি কি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক? তাই সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়, সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। বিদেশ যাওয়ার সকল তথ্য জানতে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪ আর্টিকেলটি পড়ুন।
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪
অনেকেই কর্মের জন্য বা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন। বিদেশ যেতে অনেকেই দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বোচ্চ হারিয়ে ফেলে। তার কারণ সঠিক উপায়ে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত না নেওয়া। বিস্তারিত জানতে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪ আর্টিকেলটি পড়ুন।

বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি

বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ধরনের বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি রয়েছে। আপনি যদি শ্রমিক ভিসা বা অন্যান্য ভিসার মাধ্যমে বিদেশ যেতে চান তাহলে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সির সাথে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে আপনাকে বিদেশ যাওয়ার সকল তথ্য বা পরামর্শ এজেন্সি গুলো দিতে পারবে। আপনি কোন ভিসায় যেতে চান, কোন কাজের অভিজ্ঞতা আছে বা কত টাকা লাগবে ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক পরামর্শ এজেন্সি গুলো দিয়ে থাকে।

এসব সরকারি বেসরকারি এজেন্সি গুলো আপনাকে বিদেশ যেতে সহযোগিতা করে থাকেন। এখন চলুন, নিচে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি গুলোর নাম ঠিকানা সহ বিস্তারিত জেনে নেই।

*মাহবুব ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি - ডি.আইটি রোড ৪৭৬/ বি, গ্রাউন্ড ফ্লোর, ঢাকা।
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৮১৯২১২০০৪, ০১৭১৫০০৯০৯৬,০১৭৪৮৩৮৩৮৩০
ফ্যাক্সঃ +৮৮০২৮৩১১৪৮১

*নিলয় ওভারসিস অ্যান্ড ট্রাভেলিং লিমিটেড - মৌচাক টাওয়ার, ৩৮/ বি, অষ্টম তলা, মালিবাগ ঢাকা।
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১৪৪৯০৬০৬, ০১৭১২৫৭৬৬৬১

*এম. এস. ট্রাভেল কেয়ার প্রাইভেট লিমিটেড - ২য় তলা, ৩/এ, ৭৮ নয়া পল্টন, মসজিদ গলি ঢাকা।
মোবাইল নাম্বারঃ০১৭১৪৩৪৯৪১৪
ফ্যাক্সঃ +৮৮০২৯৩৩১৯৫০

*কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল - গাজী টাওয়ার, ২য় তলা, ৮৪ ইনার সার্কুলার, ভি.আই.পি রোড, নয়া পল্টন, ঢাকা।
যোগাযোগঃ৯৩৩৮০৩৫, ৮৩৩১৬৯২, ৮৩৩১৬৯৪, ৮৩৩১৬৯৫
০১৭১১৫৪৯৪২৯, ০১৮১৯২২৫৭৮৬
ফ্যাক্সঃ+৮৮০২৮৩১৫৯৪৬

*ডায়মন্ড ট্রাভেলস - কমলাপুর বাজার রোড, ৩৫/৪, ১ম তলা, মতিঝিল সি/এ, ঢাকা।
যোগাযোগঃ ৯৩৪৪৯৬০, ৮৩১৯২৬৪, ৮৩১৯১৩৪, ০১৭১৫০৯০৮২৩
ফ্যাক্সঃ +৮৮০২৯৩৪৪৯৩২

*বন ভয়াজী ট্রাভেলস এন্ড ওভারসিজ প্রাইভেট লিমিটেড- তৈএনবি সার্কুলার রোড ২৯, ২য় তলা, মতিঝিল সি/এ, ঢাকা।
মোবাইল নাম্বারঃ০১৮১৫৪৪৫৪২৭, ০১৭০৪০৩৮৭৬৩
ফ্যাক্সঃ +৮৮০২৭১৬২০৩৩

*ফারহান এভিয়েশন সার্ভিসেস - এস.আর.গার্ডেন, ৩য় তলা, ৫২ নয়া পল্টন, ঢাকা।
যোগাযোগঃ৯৩৪১৮০২, ০১৮১৯২৫০১৯৩
ফ্যাক্সঃ +৮৮০২৯৩৪১৮০২

*খান টুরস এন্ড ট্রাভেলস - এস.আর.গার্ডেন, ৫ম তলা, ৫২ নয়া পল্টন, ঢাকা।
যোগাযোগঃ৯৩৪০০৮৪, ৯৩৩৩০৬৬, ০১৭১৩০১১৭৯৩
ফ্যাক্সঃ +৮৮০২৮৩১৬৯৫৬

এছাড়াও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে সকল তথ্য নিতে পারবেন। এবং বিদেশ যাওয়ার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আপনি আপনার কর্ম বা পড়াশুনা সহ যেকোন উদ্দেশ্যে আপনি বিদেশে পারি জমাতে পারবেন।

দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায়

'দালাল' শব্দটি শুনলে সবার মনে অবিশ্বাসের কথা আগে চলে আসে। কেননা যারা দালালের মাধ্যমে বিদেশ যায় তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই বিদেশে অনেক কষ্টে জীবন পার করে। এসব দালালের তাদের স্বার্থ হাসিল করতে অনেক পরিবারকে নিঃস্ব করে ফেলেছে। হয়তো ভাগ্যের পরিক্রমে দুই একজন ভালো থাকে। এ সংখ্যার হার খুবই কম। তাই আপনারা যখন বিদেশ যাবেন চেষ্টা করবেন দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়া।

তার জন্য প্রয়োজন আপনাকে একটু সচেতন হওয়া। আপনি চাইলেই ঘরে বসেই খুব সহজে স্মার্টফোনের মাধ্যমে আবেদন করে সরকারিভাবে বিদেশ যেতে পারবেন। তাই আপনাদের কথা ভেবে আমাদের আজকের সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪ আর্টিকেলটির মাধ্যমে দালাল ছাড়া বিদেশ যাওয়ার উপায় কি তা সম্পর্কে জেনে নিবো। উপায় গুলো হলো;
  • সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য "আমি প্রবাসী" এই অ্যাপ এ পাসপোর্ট দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  • এরপর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • রেজিস্ট্রেশনের সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে হোমপেজ থেকে চাকরি খুঁজুন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এখানে আপনি বিভিন্ন দেশের চাকরির নিয়োগ দেখতে পাবেন। আপনি যে দেশে যেতে ইচ্ছুক সে দেশ এবং যে চাকরি করতে চান উক্ত চাকরির উপর ক্লিক করুন।
  • এরপর আবেদন করুন অপশনে ক্লিক করলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
  • আপনার আবেদন করার পর নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে অ্যাপের ম্যাসেজ অপশনে জানিয়ে দিবে ইন্টারভিউ এর জন্য। তাই আপনাকে নিয়মিত "আমি প্রবাসী" অ্যাপের ম্যাসেজ চেক করতে হবে।

বিদেশ যেতে কি কি মেডিকেল করতে হয়

আমরা অনেকেই কর্মের জন্য বিদেশ পাড়ি দিতে চাই। আবার অনেকে আছে নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এজন্য আমাদের মেডিকেল টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে। এ বিষয়ে যারা নতুন তাদের কিন্তু কোন ধারনাই থাকে না। যারা বিদেশ যেতে চায় তাদের অবশ্যই মেডিকেল টেস্ট বিষয়ে জানা আবশ্যক তাহলে আনুষঙ্গিক কাজ করতে অনেক সহজ হয়। তাহলে চলুন, জেনে নেই বিদেশ যেতে কি কি মেডিকেল করতে হয়।
  • শারীরিক পরীক্ষা
  • এক্স-রে
  • মলমূত্র পরীক্ষা
  • রক্ত পরীক্ষা (এইচএসবিএসজি, হেপাটাইটিস এ ও বি )
  • এইচ আই ভি পরীক্ষা।
  • যৌন রোগ সংক্রামক পরীক্ষা
  • রক্ত পরীক্ষা
  • ম্যালেরিয়া
  • লেপ্রোসি এবং
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী কিনা ইত্যাদি বিষয়ে পরীক্ষা করে।
মেডিকেল টেস্টে যেসব ব্যাধি বা রোগ ধরা পড়লে আপনাকে আনফিট করে দেয়া হয় তা হল;

সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪

বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিক তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য চাকরির সন্ধানে বিদেশ পাড়ি দেন। বিদেশ পাড়ি দেওয়ার জন্য অন্যতম মাধ্যম হলো সরকারি মাধ্যম। কেননা আমাদের দেশের অনেক মানুষই বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রতারণার শিকার হয়। এতে নিজে এবং পরিবারের সবাই অর্থসহ ভোগান্তির মধ্যে পড়ে যায়। এক কথায় বলা চলে অসহায় হয়ে পড়ে যায়।
তাই এসব প্রতারণা থেকে বাঁচতে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়া। এজন্য প্রয়োজন বিদেশ যাওয়ার জন্য সকল বিষয়ে জানা শোনা। তাই আমাদের আজকের সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় ২০২৪ আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
  • বৈধভাবে ও নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন।
  • প্রথমে লাভ-ক্ষতির হিসাব করুন তারপর বিদেশ গমনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন।
  • সংশ্লিষ্ট ডিইএমওতে ডাটাবেজ নাম নিবন্ধন করুন।
  • গন্তব্য দেশের ভাষা জেনে নিন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন।
  • সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশ যান।
  • নিজের পাসপোর্ট নিজেই রাখুন এবং ভিসা সংগ্রহ ও যাচাই করুন।
  • ভালো মতো পড়ে ও বুঝে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করুন।
  • বিদেশ যাওয়ার পূর্বে সমস্ত কাগজপত্রের তিন সেট ফটোকপি করে সংরক্ষণ করুন।
  • বিএমইটির স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করুন।
  • বিদেশ যাওয়ার পূর্বে দুটি ব্যাংক হিসাব খুলুন।
  • বিদেশ যাওয়ার পূর্বে তিন দিনের প্রাক বহিঃক্রমণ প্রশিক্ষণ অংশ নিন।
  • ডিইএমও অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ দিন।
  • অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার হতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।
  • তথ্য মতে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চাইলে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তাছাড়া আপনি কোনভাবেই বিদেশ যেতে পারবেন না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হল;
  • আপনার পাসপোর্ট।
  • চাকরির চুক্তিপত্র।
  • দূতাবাসের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার।
  • ভিসা।
  • একটি ব্যাংক একাউন্ট।
  • জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র।
  • মেডিকেল রিপোর্ট।
  • বিমান টিকেট।
  • টাকা প্রদানের রশিদ ও চুক্তিপত্র ইত্যাদি।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করার পূর্বে যেসব বিষয় সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য রাখতে হবে। তা নিচে দেওয়া হল;
  • আপনার চাকরির নাম।
  • কোম্পানির নাম ঠিকানা।
  • চাকরির মেয়াদ কতদিন।
  • আপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
  • মাসিক বেতন কত।
  • যাওয়া আসা বিমান ভাড়া।
  • ওভারটাইম সুবিধা।
  • সাপ্তাহিক ছুটি, অসুস্থতা সহ অন্যান্য ছুটির সুবিধা।
  • বিদেশে স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা।
  • খাবার ব্যবস্থা।
  • বাসা ভাড়া সহ।
  • আপনি চাকরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে দেশে পাঠানোর খরচ ও পদ্ধতি ইত্যাদি।
সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় বা নিয়ম

আপনি যদি সরকারি ভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনাকে Ami Probashi অ্যাপ ইন্সটল করার মাধ্যমে ওপেন করতে হবে। এরপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্র এবং যাবতীয় ডকুমেন্ট দিয়ে সাবমিট করতে হবে এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন দেশে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি চাকরির ক্যাটাগরি এবং বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

যদি উক্ত কোম্পানি আপনাকে সিলেক্ট করে তাহলে আপনি তাদের নির্ধারিত স্থানে ইন্টারভিউ দেওয়ার মাধ্যমে যদি উত্তীর্ণ হন তাহলে চাকরি করার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন। এছাড়াও আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইট www.probashi.gov.bd এর মাধ্যমে সকল তথ্য নিতে পারবেন এবং আবেদন করতে পারবেন। আমি প্রবাসী অ্যাপস যেভাবে অনুসরণ করবেন;
  • আমি প্রবাসী অ্যাপস পাসপোর্ট দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  • এরপর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হলে হোমপেজ থেকে চাকরি খুঁজুন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এখন যে চাকরি আবার পছন্দ সেই চাকরিতে ক্লিক করুন।
  • এরপর আবেদন করুন অপশনে ক্লিক করলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
আপনার আবেদন করার পর নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে অ্যাপের ম্যাসেজ অপশনে জানিয়ে দিবে ইন্টারভিউ এর জন্য। তাই আপনাকে নিয়মিত "আমি প্রবাসী" অ্যাপের ম্যাসেজ চেক করতে হবে।

বহির্গমন কার্ড কিভাবে পূরণ করতে হয়

অনেকে আছেন বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে বহির্গমন কার্ড/ এম্বারকেশন কার্ড পূরণ করতে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যায়। বিশেষ করে যারা নতুন বা পড়াশোনা জানেন না তাদের ক্ষেত্রে অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তবে আপনি এসব কার্ড পূরণ করার জন্য এয়ারপোর্টের কর্মকর্তার সহযোগিতা নিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার অভিযোগ পাওয়া যায় বহির্গমন কার্ড পূরণ করতে বাড়তি টাকা দিতে হয়।

যা আমাদের জন্য মোটেও কাম্য নয়। আমরা কেন অন্যের উপর নির্ভরশীল হবো আমরা নিজে নিজেই বহির্গমন কার্ড পূরণ করবো এবং ইমিগ্রেশন অথোরিটিকে জমা দিবো। এরপর ইমিগ্রেশন অথরিটি আপনার পুরুনকৃত কার্ডটি সংগ্রহ করে ডাটাবেজে সংরক্ষণ করবে। বহির্গমন কার্ড কিভাবে পূরণ করতে হয় জেনে নিন।
  • ১ নং এ আপনার পাসপোর্ট এর পূর্ণাঙ্গ নাম দিতে হবে।
  • ২ নং ছেলে না মেয়ে তাতে টিক চিহ্ন দিন।
  • ৩ নং আপনার জন্ম তারিখ দিন।
  • ৪ নং আপনার জাতীয়তা অর্থাৎ আপনি কোন দেশের নাগরিক। যেমনঃ বাংলাদেশী দিন।
  • ৫ নং আপনার পাসপোর্ট নম্বর।
  • ৬ নং উত্তীর্ণের তারিখ দিন।
  • ৭ নং আপনি যে ফ্লাইটে যাবেন ফ্লাইট নম্বর দিন।
  • ৮ নং আপনার বিমানটি বা ফ্লাইট ছেড়ে দিবে। প্রস্থানের তারিখ দিতে হবে।
  • ৯ নং বাংলাদেশের থাকা অবস্থায় ঠিকানা ( বিদেশি নাগরিকদের জন্য )
  • ১০ নং বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য a. ভিসা নম্বর দিতে হবে। b. ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ। c. আপনার ভিসা কোন ধরনের তা লিখুন। এবং d. আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য কি তা লিখুন সাথে আপনার স্বাক্ষর দিন এবং তারিখ দিন।
এভাবে আপনি খুব সহজেই বহির্গমন কার্ড পূরণ করে তা ইমিগ্রেশন অথরিটিকে জমা দিতে পারবেন। জমা দেয়ার পর ভেরিফিকেশনের জন্য ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আপনাকে এই ফরম থেকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার বিমান টিকেট যখন কনফার্ম হয়ে যাবে তখন টিকেট এজেন্টকে বললে আপনাকে কার্ডটি দিয়ে দিবে অথবা আপনি অনলাইন থেকে এই কার্ডটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে পূরণ করে আগেই নিয়ে যেতে পারেন পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে।

বিমানে কি কি নেওয়া যাবে না

আপনারা বিদেশ যাওয়ার সময় বাসায় থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং সখের বসে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন আকাশ পথে ভ্রমনে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে কিছু বিধি - নিষেধ। আপনি চাইলেও অনেক কিছু সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন না। যারা হয়তো নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা এসব বিষয়ে খুব ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু যারা নতুন কখনো বিমানে যাতায়াত করেননি তাদের জন্য জানা আবশ্যক। চলুন আজকে আমরা জেনে নেই, বিমানে কি কি নেওয়া যাবে না।
  • বিমানে, এয়ারপোর্ট এ ধূমপান নিষিদ্ধ এবং সাথে নিতে পারবেন না।
  • বিমানে মোবাইল ফোন ও ট্রানজিস্টর রেডিও ব্যবহার করার যাবে না।
  • আগ্নেয়াস্ত বা বিস্ফোরক পদার্থ নেওয়া যাবে না।
  • মাদক ও ড্রাগ নেওয়া যাবে না।
  • দুর্গন্ধ ছড়ায় এমন পদার্থ বহন করা যাবে না।
  • মেটাল ডিরেক্টর।
  • অবৈধ অস্ত্র।
  • ব্যক্তিগত কাজের যন্ত্রাংশ। যেমনঃ ডিল, মেশিন, স্কু ড্রাইভার, করাত ইত্যাদি।

ইমিগ্রেশনের নিয়ম কানুন

  • কাউন্টারে আপনাকে পাসপোর্ট, ভিসা, জনশক্তি বুড়োর ছাড়পত্র পরীক্ষা করবে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে পাসপোর্ট সিলমোহর করে আপনাকে ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দিবে।
  • ভিতরে যাওয়ার পর বিমান আহরণের পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
  • আপনাকে ইমিগ্রেশন এর সামনে লাইনে দাঁড়াতে হবে। সাথে আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ফরম নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।
  • এরপর আপনাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বিদেশ যাওয়ার তারিখসহ সিল দিয়ে দিবে।
  • বিমানে উঠার আগে বাংলা ও ইংরেজিতে মাইক্রোফোনে ঘোষণা করবে এবং ডিসপ্লে বোর্ড ও টেলিভিশন মনিটরে দেখিয়ে দিবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, বিদেশে যাওয়ার সংক্রান্ত সকল বিষয় আমরা আপনাদের জন্য সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার উপায় - ২০২৪ আর্টিকেলে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যারা হয়তো নিয়মিত তারা হয়তো এ বিষয়ে অবগত ছিল। কিন্তু যারা একেবারে নতুন তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে আপনাদের সহযোগিতা করায় আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url