পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪

আপনারা পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা কিভাবে অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন করে, ১০ বছর মেয়াদি ই -পাসপোর্ট আবেদন এবং জরুরি পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম আর্টিকেলটি পড়ুন।
পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
পাসপোর্ট এর প্রকার আলাদা হয়ে থাকে। পাসপোর্ট এর রং হয় আলাদা। এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ অনুযায়ী ফি ও হয় আলাদা। যা একজন সচেতন নাগরিকের জানা প্রয়োজন। তো পাসপোর্ট সম্পর্কে জানতে পড়ে ফেলুন আমাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম আর্টিকেলটি।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট কত প্রকার

বাংলাদেশের পাসপোর্ট সাধারণত ৩ প্রকার। 
  • সাধারণ পাসপোর্ট
  • দাপ্তরিক পাসপোর্ট
  • কূটনৈতিক পাসপোর্ট
সাধারণ পাসপোর্টঃ নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট দেখতে হয় সবুজ মলাট যাকে সবুজ পাসপোর্ট বলা হয়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাঈদ বলেন, জন্ম জন্ম ও বৈবাহিক বাংলাদেশে যেকোনো নাগরিকদের জন্য সবুজ পাসপোর্ট। সাধারণ পাসপোর্ট মূলত আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ নিয়মিত নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়। যেমন; অধ্যয়নের ক্ষেত্রে, ব্যবসার কাজে ভ্রমণ, ছুটি কাটাতে বা কর্মের ক্ষেত্রে ইত্যাদি।

দাপ্তরিক পাসপোর্টঃ দাপ্তরিক পাসপোর্ট দেখতে হয় নীল মলাট যাকে নীল পাসপোর্ট বলা হয়। দাপ্তরিক পাসপোর্ট এর মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে সরকারি কর্মচারী, কর্মকর্তা এবং সরকারি ব্যবসায়িক বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী এমন ব্যক্তিদের জন্য জারি করা হয়েছে। এ পাসপোর্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসে অনুমোদন বা ( জিও ) প্রয়োজন হয়। নীল পাসপোর্ট ধারীরা কমপক্ষে ২৭ টি দেশ বিনাভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

কূটনৈতিক পাসপোর্টঃ কূটনৈতিক পাসপোর্ট দেখতে হয় লাল মলাট যাকে লাল পাসপোর্ট বলা হয়। বাংলাদেশী কূটনৈতিকদের শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কূটনৈতিক পাসপোর্ট জারি করা হয়েছে। যেমন; রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য। এছাড়াও আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রণালয়ের সচিব লাল পাসপোর্ট এর সুবিধা পেয়ে থাকেন।

অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে পাসপোর্ট আবেদন কিভাবে করে সে সম্পর্কে কিছুই জানে না। আবার অনেকে আছে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্র লাগে তা সম্পর্ক ধারণা নেই। তবে এ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেককেই ধারণা থাকা উচিত। পাসপোর্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে অবশ্যই পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন। অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট আবেদন করার চেয়ে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করা খুব সহজ।

এতে অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এবং কোন ঝামেলাও পোহাতে হয় না। ঘরে বসেই আপনি কিছু ধাপ অনুসরণ করে সহজেই অনলাইন আবেদন করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে অনলাইন এ পাসপোর্ট আবেদন কিভাবে করবেন বা কি নিয়মে করতে হয়? চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে তা হল;
  • অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট www.passport.govt.com ভিজিট করুন।
  • এরপর ওয়েবসাইটের পেজ আসবে সেখানে বাংলা ও ইংরেজিতে নীতিমালা লেখা থাকবে তা ভালো করে পড়ে সম্মতি জানিয়ে CONTINUE ONLINE ENROLMENT এ  করুন।
  • তারপর PASSPORT APPLICATION STAGE -1 আসবে।
  • সেখানে পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন তথ্যসহ
  • নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ঠিকানা সহ সহ পিতা-মাতার তথ্য দিতে হবে।
  • থানা নির্বাচন করতে হবে ।
  • জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে পূরণ করুন।
  • PASSPORT APPLICATION STAGE -১ পূরণ করা হয়ে গেলে। যদি সংরক্ষণ করে রাখতে চান বা পরবর্তীতে করতে চান তাহলে SAVE NOW&CONTINUE IN THE FUTURE বাটুন এ ক্লিক করুন।
  • আপনার ইমেইল ঠিকানায় অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড সরবরাহ করা হবে যাতে আপনি পরবর্তী STAGE - ২ পূরণ করতে পারেন। এবং পরে অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Login করে কাজ করতে পারবেন।
  • PASSPORT APPLICATION STAGE - ২ পূরণ করতে চাইলে SAVE& NEXT ক্লিক করুন।
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ ও ডেলিভারি ধরন নিশ্চিত করলে আপনার আবেদনটি সম্পন্ন হবে।
  • পূরণ করার সময় লক্ষ্য করবেন * এই চিহ্ন থাকলে অবশ্যই সেগুলো পূরণ করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ আপনাদের কিছু ছবি দেওয়া হল;
ওয়েবসাইটের পেজের নিচের অংশ

PASSPORT APPLICATION STAGE -১


উপরোক্ত পদ্ধতি ঠিক মতো অনুসরণ করতে পারলে আপনার অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট হবে। কাজগুলো করার সময় অবশ্যই দেখে শুনে করার চেষ্টা করবেন। আর যদি মনে হয় এডিট করার প্রয়োজন আছে তাহলে আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে করতে পারবেন। তবে তা সাবমিট করার পূর্বে এডিট করতে পারবেন।

১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

অনেকেই পাসপোর্ট সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জানে না। অনেকে আছে পাসপোর্ট কত বছর মেয়াদি হয় বা কত টাকা লাগে ইত্যাদি। তো আমাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম এ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এখন জানা যাক,১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য লাগে;
  • সাধারণ ফি ৫৭৫০ টাকা।
  • জরুরী ফি ৮০৫০ টাকা।
  • অতি জরুরী ফি ১০৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য লাগে;
  • সাধারণ ফি ৮০৫০ টাকা।
  • জরুরী ফি ১০৩৫০ টাকা।
  • অতি জরুরী ফি ১৩৮৫০ টাকা।
আপনাদের সুবিধার্থে জেনে থাকা ভালো সবগুলো ফি এর সাথে ১৫% ভ্যাট যোগ হবে। এবং যদি বয়স ১৮ বছরের কম হয় এবং ৬৫ বছরের বেশি হয় তাহলে আবেদনকারীরা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পাবেন না। ৫ বছর মেয়াদই করতে পারবেন। আর অতি জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন অবশ্যই সাথে করে আনতে হবে।

৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য লাগে;
  • সাধারণ ফি ৪০২৫ টাকা।
  • জরুরী ফি ৬৩২৫ টাকা।
  • অতি জরুরী ফি ৮৬২৫ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য লাগে;
  • সাধারণ ফি ৬৩২৫ টাকা।
  • জরুরী ফি ৮৬২৫ টাকা।
  • অতি জরুরী ফি ১২০৭৫ টাকা।

পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

আমরা সবাই জানি, ইলেকট্রনিক বা ই - পাসপোর্ট এর যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯ তম দেশ হিসেবে ই -পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে। যা বর্তমানে মানুষ ই - পাসপোর্ট সেবা পাচ্ছে। আপনি চাইলে ঘরে বসেই খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে ই - পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবং আবেদন জমা দেওয়ার দিন তারিখ ও পেয়ে যাবেন। এতে প্রয়োজন পড়ছে না কাগজপত্র ও কোনো সত্যায়ন করার। তবে এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদন কিভাবে করতে হয়, আবেদন করতে কি লাগে, খরচ কত হয় এবং কত দিনে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানা জরুরী। কারণ ই পাসপোর্ট আবেদন করে সাবমিট করার পর যদি দেখেন কোন জায়গায় ভুল হয়েছে তাহলে কিন্তু আপনি পরবর্তীতে তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। সেই সাথে একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই - পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এখন চলুন,পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
  • আপনাকে প্রথমে যেতে হবে ই পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে। এখানে ক্লিক করলে ই - পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে সরাসরি চলে যাবেন।
  • ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর সরাসরি Apply Online এ ক্লিক করতে হবে।
  • এখন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। শুরু করার আগে দেখে নিন ই - পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি স্টেপ।
  • আপনাকে প্রথম স্টেপে আপনার বর্তমান ঠিকানা, জেলার নাম এবং থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে।
  • দ্বিতীয় স্টেপে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে মূল ফরম পূরণ করতে হবে।
  • তৃতীয় স্টেপে আপনাকে পাসপোর্ট এর মেয়াদ এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা মোতাবেক নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
  • টাকা জমা দেওয়ার জন্য আপনি যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে জমা দিতে পারবেন।
  • এছাড়াও আপনি অনুমোদিত ব্যাংকের যেকোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে জমা দেওয়া স্লিপ এর নম্বর নিতে পারবেন।
  • উপরের সব কাজ সম্পন্ন হলে আপনাকে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে।
  • এরপর আপনার আবেদনের সকল তথ্য পাসপোর্ট কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে।
এখন আপনাকে যা যা করতে হবে তা হল;
  • আপনার অনলাইনে ই - পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ও পরিশোধ করা হয়ে গেলে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য তারিখ পাবেন বা নিবেন।
  • এরপর আপনাকে সেই নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদনের ফরম কপি, ফি পরিশোধের রিসিভ, আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটো কপি সহ যদি আপনার পুরাতন পাসপোর্ট এর কপি থাকে তাহলে সেই কপি সহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন।
  • অবশ্যই মূল কাগজপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। এখন আপনাকে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসের নির্দিষ্ট জায়গায় লাইনে দাঁড়াইতে হবে।
  • এরপর আপনার ছবি তোলা আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ এর ছবি নেওয়ার পর আপনাকে পাসপোর্ট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ একটি রিসিভ দিবে।
  • কারণ আপনি যখন পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন তখন ডেলিভারির রশিদ দেখানো বাধ্যতামূলক।
  • যদি আপনার পাসপোর্ট এর কাজ সম্পন্ন হয়ে যায় তখন আপনাকে মেসেজ করে জানিয়ে দিবে।
  • তখন আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন।

জরুরি পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে

জরুরী পাসপোর্ট করতে কতদিন লাগে? এ উত্তরে পুলিশ ভেরিফিকেশন অত্যন্ত জরুরী। যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক থাকে তাহলে ১০ - ১৫ দিন সময় লাগবে। এই বিষয়ে আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা জানতে হবে। আপনাকে জরুরী পাসপোর্ট করার জন্য একটা নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে যা আমরা ৫ বছর মেয়াদি এবং ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ই - পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ই -পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয়তা কাগজপত্র লাগে তা হল;
  • জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন।
  • নাগরিকত্ব সনদ।
  • প্রফেশনাল প্রমাণ পত্র।
  • ই - পাসপোর্ট আবেদনের সামারি।
  • পাসপোর্ট আবেদনের ফরম।
  • পাসপোর্ট ফ্রি/ব্যাংক ড্রাফ কপি।
  • যাদের ১৮ বছরের কম লাগবে জন্ম নিবন্ধন সনদ।
  • এবং ছাত্র-ছাত্রী হলে Student ID / Student Certificate।
  • চাকুরীজীবী হলে সাথে No Objection Certificate / Govt Oder পেপার। যদি সরকারি কাজের জন্য দেশের বাইরে যায় যায় তখন Govt Oder দাখিল করতে হয়। আর যদি নিজের প্রয়োজনে পাসপোর্ট করেন তাহলে তার নিজস্ব বিভাগ, অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় থেকে No Objection Certificate সংগ্রহ করতে হয়।

ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

অনেকে দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যে কিভাবে পাসপোর্ট এর টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি চাইলে অনলাইনে অটোমেটেড চালান সিস্টেম এর মাধ্যমে ঘরে বসে পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারেন। তার জন্য আপনাকে ibas.finance.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিকাশ অথবা রকেটের মাধ্যমে সকল মেয়াদী পাসপোর্ট এর টাকা জমা দিতে পারবেন। এখন চলুন ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম জেনে নেই।
  • আপনাকে ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে হবে। যেখানে আপনার পাসপোর্ট এর পেজ ও মেয়াদ, আপনার ভোটার আইডির নাম্বারসহ মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।
  • এরপর এই ফরমসহ পাসপোর্ট এর টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তখন ব্যাংক থেকে যে চালান ফরম দিবে তা প্রিন্ট করে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পাসপোর্ট আবেদনের সময় পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে ব্যাংকের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন।

কি কি ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়া যায়

আপনারা জানেন পাসপোর্ট তৈরি করতে হলে একটা নির্দিষ্ট ফি প্রেমেন্ট করতে হয়। অনেকেই আছেন যে,অসুবিধায় পরে যায় যে কোথায় টাকা দিবো, কোন ব্যাংকে টাকা দিবো, কিভাবে দিবো ইত্যাদি।আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। তবে সরকারি কাজ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যাংক আলাদা হয়ে থাকে। তবে তথ্য মতে, জানা যায় আমাদের দেশের প্রায় সকল ব্যাংকে পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়া যায়। তারপরও আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ব্যাংকের নাম সাজেস্ট করা হলো;
  • সোনালী ব্যাংক
  • অগ্রণী ব্যাংক
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
  • এন আর বি কমার্শিয়াল ব্যাংক
  • এবি ব্যাংক
  • ব্র্যাক ব্যাংক
  • সাউথইস্ট ব্যাংক
  • ইয়েস্টার্ন ব্যাংক
  • ওয়ান ব্যাংক
  • বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক

পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আমরা চেষ্টা করেছি আজকে পাসপোর্ট করার নিয়ম - ই পাসপোর্ট করার নিয়ম এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পাসপোর্ট সম্পর্কে সমস্ত ইনফরমেশন তুলে ধরার। আপনারা যদি মনোযোগ সহ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে পাসপোর্ট কত প্রকার, পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম,পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে, কতদিন সময় লাগে ইত্যাদি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন। যদি আমাদের আর্টিকেলটি পরে আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই ড্রিম সেভ আইটির সাথেই থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url