বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
আপনি বাত ব্যথার যন্ত্রণায় ভুগছেন? বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে পুরোপুরি পড়ুন বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় আর্টিকেলটি। এছাড়াও কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে, বাতের ব্যথার লক্ষণ এবং বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আমরা আপনাদের জন্য বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় এ বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
গাউট বা বাত ব্যথা যাদের হয় একমাত্র তারাই বোঝে এর যন্ত্রণা কেমন। তাই বাতের ব্যথা রোগ সম্পর্কে অনেকের জানা নেই বলে এ রোগ সহজে দূর করতে পারে না। তাই প্রত্যেকেরই জানা উচিত। জেনে নিন বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে।
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথা অস্থিসন্ধির একটি গুরুতর সমস্যা। এই রোগের ফলে বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে প্রচন্ড ব্যথা হয়, এবং ফুলে ওঠে। এক কথায় বলা যায় প্রদাহ জনিত ব্যথার কারণ বাত রোগ। যেকোনো বয়সেই বাতের ব্যথা হতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সাথে বাত হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। আমরা যে প্রতিদিন নিয়মিত খাবারগুলো খেয়ে থাকি তাতে কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনফ্লামেটরি বা ব্যথা বৃদ্ধিকারী।
আরও পড়ুনঃ দাঁত ব্যথা হলে করণীয় ২০২৩
এজন্য যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তাদের কিছু খাবার এড়িয়ে চললে বাত ব্যথা কমিয়ে আসবে। কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে জানা আবশ্যক। চলুন জেনে নেই, বাতের ব্যথা বৃদ্ধি হওয়ার খাবার গুলো কি কি।
- ডিমের কুসুম।
- দুগ্ধ জাতীয় খাবার।
- ভুট্টার তেল।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার।
- রেডমিট।
- টমেটো।
- লেবু।
- আমড়া জাতীয় ফল।
- শিকড় জাতীয় খাবার।
- কামবেন ময়দা।
- গম, বার্লি।
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া।
- তৈলাক্ত মাছ।
- কলিজা।
আপনারা যারা বাত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই উপরিউক্ত খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। কেননা এসব খাবারের মাধ্যমে বাতের ব্যথা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে।
বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
বাতের ব্যথা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হয়ে থাকে। যারা বাত ব্যথায় ভুক্তভোগী তাদের এ বিষয়ে কম বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। যাদের কোমরে ব্যথা হয় তাদের হালকাভাবে নেওয়া উচিত না। এটি একটি জটিল সমস্যা। বাতের ব্যথা যেখানেই হোক না কেন যে কারণেই হোক না কেন দ্রুত সঠিক চিকিৎসা করানোর মাধ্যমে দূর করতে হবে। আপনারা যারা জানতে চান বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়? বাতের ব্যথা হয় মূলত-
- দেহের বিভিন্ন হাড়ে।
- হাড়ের জয়েন্টে। যেমন-
- ঘাড়।
- কোমড়।
- হাঁটু।
- কনুই।
- কব্জিতে।
- রগ বা মাংসপেশিতে।
বাতের ব্যথার লক্ষণ
বাত ব্যথা যাকে আমরা গাউট বলে থাকি। বাতের ব্যথার কিছু লক্ষণ রয়েছে। যা দেখে বোঝা যায় যে বাতের ব্যথায় আক্রান্ত। বাত ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে প্রত্যকেরই কমবেশি ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাহলে খুব সহজেই বাতের ব্যথা নিরাময় করা সহজ হবে। কারণ যেসব খাবার খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে সুবিধা হবে। এবং খুব দ্রুত চিকিৎসা করানোর ফলে বাত ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। শরীরের যেসব সমস্যা দেখলে বুঝতে পারবেন যে এসব বাতের ব্যথার লক্ষণ। তা নিম্নে দেওয়া হল;
- হঠাৎ করেই পায়ের গিরার জোড়া আক্রান্ত হয় এবং প্রচন্ড ব্যথা করে।
- হালকা জ্বর।
- আক্রান্ত স্থান ফুলে যাওয়া।
- উঠতে বসতে ব্যথা করে।
- হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হওয়া ইত্যাদি।
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
আমাদের কাছে গাউট বা বাত ব্যথা খুব পরিচিত একটি রোগ। বাত ব্যথা রোগে শরীরের বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টে আক্রান্ত হয়। কিশোর বয়স থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স এবং বৃদ্ধ বয়সের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ১৫-২০ শতাংশ মানুষ বাত ব্যথায় ভুক্তভোগী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বের ২১ মিলিয়নেরও বেশি শিশুর বয়সে তুলনায় ওজন অনেক বেশি। যার কারণে ৫ বছর বয়সের নিচের শিশুদের সমস্যায় পড়তে হয়।
আরও পড়ুনঃ মাথা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাত ব্যথা হয় অস্থির সন্ধিতে ইউরিক এসিড জমার কারণে। আবার শতকরা ২০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে। বাত ব্যথা হওয়ার পিছনে কিছু ওষুধ দায়ী থাকে। আবার কাজের ক্ষেত্রে কিছু পেশায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আবার দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয় যার প্রভাবে হাঁটু ও কোমরে পর্যাপ্ত চাপ পড়ে। ভারী কাজ করতে গেলে হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রচন্ড চাপ পড়ে যার ফলে বাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বাত ব্যথা হয়ে থাকে। তাহলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি? বাত ব্যথায় যারা ভোগেন খুঁজতে থাকেন কিভাবে বাত ব্যথা ভালো করা যায়। বাত ব্যথা দূর করতে হলে এ বিষয়ে সঠিক জানতে হবে। তাই আপনাদের জন্য আমাদের আজকের বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় আর্টিকেলটি। এখন চলুন জেনে নেই, কিভাবে বাত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
- বাত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অস্থিরসন্ধিতে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে আনা।
- এবং এর মাধ্যমে রোগের লক্ষণ এবং পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহণ করা।
- ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইন্ডোমিথাসিনের মত এনএসএআইডি জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করা।
- প্রেডনিসোলোনের মত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ মুখে খেতে পারেন। অথবা আক্রান্ত স্থানে ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন।
- আবার অ্যালোপিউরিনল, কোলচিসিন একসঙ্গে অথবা আলাদা করে ব্যবহার করতে পারেন। এই ওষুধগুলো তখনই কার্যকর হবে যখন আক্রান্ত হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে সেবন করতে পারবেন।
- হাটুতে ব্যাথা হলে আনলোডিং ব্রেস, সঠিক জুতা এবং ছড়ির ব্যবহার করা যেতে পারে। ছড়ি ওজন পুরো পায়ে পড়তে দেয় না হলে ব্যথা কম হতে পারে।
- মাসল ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে ম্যসেজ করতে পারেন এতে শরীরে অক্সিজেন চলাচল ভালোভাবে হয়। এবং টিস্যু থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়।
- এছাড়াও বাত প্রতিরোধ করতে যেসব খাবার খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায় সেসব খাবার গ্রহণ করা থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।
- অ্যালকোহল গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে।
- প্রতিদিন শোষণ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- এ রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাতের ব্যথায় যারা প্রতিদিন ভুগতে থাকেন তাদের জন্য আমাদের বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় আর্টিকেলের বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। আপনারাও হয়তো জানেন আমাদের দীর্ঘদিন যাবত জীবনযাত্রায় কিছু বদভ্যাসের কারণে গাউট বা বাত ব্যথা বাসা বেধে থাকে। আপনারা যদি চান যে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে কোন ওষুধ সেবন না করে নিজেরাই ঘরোয়া উপায়ে বাত ব্যথা ভালো করতে। তাহলে নিচের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ব্যায়ামঃ আপনারা নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে দেহের প্রতিটি হাড়ের জয়েন্ট গুলোর উন্নতি করতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেশি শক্তিশালী হয়। এবং ওজন কমার মাধ্যমে আপনার গিরার উপর চাপ কমাতে সহায়তা করে।
বিশ্রামঃ বাত ব্যথা কমাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বিশ্রাম করার প্রয়োজন হয়। এজন্য বাত ব্যথা শুরু হলে বিশ্রাম নিন এবং পর্যাপ্ত ঘুম পারার চেষ্টা করুন। তাহলে ব্যথার পাশাপাশি শারীরিক ক্লান্তি দূর হবে।
ছ্যাঁকঃ যেখানে বাত ব্যথা হয় সেই স্থানে আইস প্যাক দিয়ে ঠান্ডা চাপ দিন এতে প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। যদি ব্যথার কারণে পেশীতে খিচুনি হয়ে থাকে তাহলে ঠান্ডা চাপ দেওয়া অনেক কার্যকর। এছাড়াও ব্যথা স্থানে গরম ছ্যাকা দিলেও সাময়িক আরাম পাবেন। এবং হাত-পায়ের গিরাগুলো শক্ত হয়ে যাওয়া কমাতে সহায়তা করে।
আদা চাঃ আপনারা জানেন ব্যথা কমাতে আদা অনেক কার্যকরী। উপকার পেতে গরম পানিতে আদার সাথে চায়ের পাতা দিয়ে ১৫-২০ মিনিট পানি ফুটিয়ে সেই চা পান করুন। এতে সাময়িক ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
লঙ্কাগুঁড়োঃ ব্যথা কমাতে লঙ্কাগুঁড়োর সাথে ২-৩ চামচ অলিভ অয়েল তেল মিশিয়ে ব্যথা স্থানে লাগিয়ে রাখুন। প্রথমে খুব জ্বালা করলেও ধীরে ধীরে তা কমে আসবে। এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা অনেক কমে যাবে। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন এটা অনেক প্রাচীন পদ্ধতি।
সাঁতার কাটুনঃ বাতের ব্যথা কমানোর সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম হলো সাঁতার কাটা। পানির মধ্যে ভারশূন্যতা পেশির চাপ কমিয়ে দেয়। সাঁতারের ফলে হাঁটু ও নিতম্বের জোড় বাড়ায়। শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ব্যথা অনেক কমিয়ে দেয়।
ভিটামিন সিঃ পেশির ব্যথা কমাতে নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা বলে।
ওমেগা-৩ফ্যাটি এসিডঃ চিকিৎসকেরা বলছেন, পেশির শক্তি বাড়াতে ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ টাটকা মাছ সপ্তাহে বেশি পরিমাণ খাদ্য তালিকায় রাখুন। ফলে পেশি ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।
খালি পায়ে হাটাঃ বাত ও পেশির ব্যথা কমানোর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো খালি পায়ে হাটা। এতে ব্যথা প্রায় ১২ শতাংশ কমে আসবে।
বাদামঃ অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস কমাতে বাদাম খুব উপকারী। তাই নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। আখরোড, পেস্তা, আমন্ড বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন- ই এ ফাইবার।
বাতের ব্যথার ব্যায়াম
বাতের ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। তা হল;
- একটা নরম তোয়ালে নিন এবং তা ভাজ করে হাঁটুর নিচে রেখে দিন। এরপর তোয়ালের উপর চাপ দিয়ে ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন তারপর ছেড়ে দিন। এভাবে প্রতিদিন ৩-৪ বার ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিবারই ১০-১৫ বার করতে পারেন।
- চেয়ারে বসে ব্যায়াম করতে পারেন। চেয়ারে বসে পায়ের উপর ২-৪ কেজি বালুর ব্যাগ অথবা অন্য কিছু বেঁধে পা সোজা করে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং আবার পা ভাজ করুন।
- আবার একই পদ্ধতিতে উপর হয়ে শুয়ে বালুর ব্যাগ পায়ে বেধে হাঁটু ভাঁজ করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে তারপর ছেড়ে দিন। প্রতিবারই এ ব্যায়াম ১০-১৫ করুন।
- বিছানায় সোজা হয়ে বসে তোয়ালা দিয়ে পায়ের পাতা সামনের দিকে টানুন ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন তারপর ছেড়ে দিন।
- চেয়ারের সামনে বা বাসায় জানালার গ্রিলের সামনে দাঁড়িয়ে তাতে ধরে আস্তে আস্তে হাঁটু ভাঁজ করে বসার চেষ্টা করুন আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যান।
- পরামর্শে; মেহেরুন্নেসা, ফিজিওথেরাপি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
শেষ কথা - বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
প্রিয় পাঠক, বাতের ব্যথা সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। কিন্তু এই রোগ কেন হয় এর লক্ষণগুলো কি এবং কিভাবে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। এবং কি কি খাবার খেলে বাত ব্যথা কমে আর কি খাবার খেলে বেশি হতে পারে তা জানে না। আশা করছি, আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সম্পন্ন জানতে পেরেছেনএবং উপকৃত হয়েছেন।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url