ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আপনারা ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা ভিটামিন সি এর উৎস, ভিটামিন সি এর কাজ এবং ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানবো। তাই আপনারা ভিটামিন সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
আমরা ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। এজন্য প্রতিদিন কি পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করবেন তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভিটামিন সি এর উৎস
আমরা সবাই জানি, ভিটামিন সি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে আমরা অনেকেই জানিনা ভিটামিন সি এর উৎস এমন কিছু ফলমূল শাকসবজি জাতীয় খাবারে রয়েছে। যা আমরা প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। যেহেতু ভিটামিন সি পানিতে দ্রবনীয় তাই আমাদের দেহ ভিটামিন সি তৈরি করতে পারেনা। এজন্য প্রাকৃতিক খাবারের উৎস থেকে এই ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন সি শরীরে সঠিকভাবে পেতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কাঁচা খেতে হয়।
আরও পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
কারণ রান্না করে খেলে অথবা গরম করে খেলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় পাশাপাশি ভিটামিন সি এর পরিমাণ কমে যায়। এবং অনেকদিন সময় ধরে না খেয়ে রেখে দিয়ে পরে খাওয়া উচিত না। এছাড়াও সূর্যের তাপ বা অতিরিক্ত গরম লাগানো ঠিক না। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যখন দোকানদার এই পণ্যগুলি কিনে তখন সুন্দর করে শক্ত বাক্সে প্যাকেট করে মোড়ানো থাকে।
যাতে প্রাকৃতিক উপাদান গুলি অক্ষত অবস্থায় থাকে এবং সূর্যের তাপ যেন না লাগে। এজন্য এসব ফলমূল ভিটামিন সি এর সঠিক উপাদান পেতে টাটকা তাজা অবস্থায় পানিতে পরিষ্কার করে খাওয়া উত্তম। এবার চলুন ভিটামিন সি এর উৎস এমন কিছু ফলমূল এবং সবজির নাম আমরা জেনে নেই।
- কমলা
- আঙ্গুর
- জলপাই
- আমড়া
- বেদেনা
- লেবু
- আনারস
- তেতুল
- বরই
- পেয়ারা
- জাম
- পেঁপে
- জাম্বুরা
- মালটা
- আমলকি
- কাঁচামরিচ
- বাদামি লেবু
- বাঁধাকপি
- টমেটো
- করলা
- চাল কুমড়া
- কাচা কলা
- কচু শাক
- পুঁইশাক
- ধনেপাতা
দৈনিক কত গ্রাম ভিটামিন সি দরকার
আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ একজন মানুষের দৈনিক কত গ্রাম ভিটামিন সি দরকার তা সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। কেননা ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে প্রতিদিন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। ঠিক কি পরিমাণ খেতে হবে বা শরীরের জন্য দরকার তার সঠিক তথ্য জানতে হবে। চলুন জেনে নেই, একজন মানুষের দৈনিক কত গ্রাম ভিটামিন সি দরকার।
আমাদের সকলকে নিয়মিত প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী শরীরের চাহিদার কম বেশি হতে পারে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এর তথ্য মতে, প্রাপ্তবয়স্ক একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন গড়ে ৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। এখন চলুন বয়স অনুযায়ী দৈনিক কি পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন তা সম্পর্কে জেনে নেই।
- শিশুদের ক্ষেত্রে - ৩০ থেকে ৩৫ মিলিগ্রাম
- প্রাপ্তবয়স্কর ক্ষেত্রে - ৪৫ মিলিগ্রাম
- গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে - ৫৫ মিলিগ্রাম
- এবং প্রসূতি নারীদের ক্ষেত্রে - ৭০ মিলিগ্রাম
আপনাদের জেনে থাকা ভালো যারা মাদকাসক্ত তাদের মাদকাসক্তর ঝুঁকি কমাতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি খাওয়া প্রয়োজন। কারণ প্রতিনিয়ত ধূমপান করলে শরীর থেকে ভিটামিন সি দিন দিন কমে যেতে থাকে। এজন্য যারা ধূমপান করে তাদের বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
ভিটামিন সি এর অভাবজনিত লক্ষণ
আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজন কোভিড - ১৯ সময় এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হাড়ের গঠনসহ, রক্তনালীর স্বাস্থ্য এবং ক্ষত নিরাময় করতে ভিটামিন সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের মতে, ভিটামিন সি এর অভাব জনিত লক্ষণ গুলো দেখা দেওয়া মাত্র সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রয়োজনের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখতে হবে। এখন চলুন ভিটামিন সি এর অভাবজনিত লক্ষণ গুলো কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
- রক্তস্বল্পতা
- মাড়ি থেকে রক্তপাত
- জয়েন্টে ব্যথা
- ত্বকের সমস্যা
- চলমান ক্লান্তি
- ক্ষতস্থান নিরাময় কমে যায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস
রক্তস্বল্পতাঃ ভিটামিন সি এর অভাব হলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। যার কারণে শরীরে দেখা দিবে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। ফলে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
মাড়ি থেকে রক্তপাতঃ যখন শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হয় তখন কোলাজেনের গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। যার কারণে মাড়ি ফুলে যায় এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত ঘটে থাকে। এছাড়াও দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জয়েন্টে ব্যথাঃ আমাদের দেহে ভিটামিন সি এর অভাবে জয়েন্টের ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও জয়েন্ট ও হাড়ের আশেপাশে ফুলে যাওয়া এবং প্রদাহ দেখা দেয়। আপনারা জেনে থাকবেন জয়েন্টের কার্টিলেজ কিন্তু কোলাজেন দিয়ে তৈরি। আর এই কোলাজেন গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে ভিটামিন সি এর ঘাটতির কারণে। ভিটামিন সি এর অভাবে হাড়ের চারপাশ অল্প প্যাডিং হয়। এজন্য একটুতেই জয়েন্টের ব্যথা হয়।
ত্বকের সমস্যাঃ ভিটামিন সি এর অভাবে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং ভাজ পড়ে যায়। এ কারণে ত্বকের উজ্জ্বল লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায়।
চলমান ক্লান্তিঃ আমাদের শরীরে যখন ভিটামিন সি এর ঘাটতি হবে তখন সব সময় ক্লান্তি ভাব থাকবে। এছাড়া কাজেও অনিহা, অলসতা বৃদ্ধি, খিটখিটে মেজাজের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্ষতস্থান নিরাময় কমে যায়ঃ যেহেতু কোলাজেন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের দেহে ভিটামিন সি এর অভাব হলে ক্ষত নিরাময় কার্যকলাপ খুবই ধীরগতিতে হয়। এছাড়াও ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসঃ আমরা জানি, ভিটামিন সি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আর যখন আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হয় তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার কারণে অল্পতেই বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত করতে পারে।
ভিটামিন সি এর উপকারিতা
ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ করা যাবে না। আমাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা জানেন ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম আ্যসকরবিক অ্যাসিড। আ্যসকরবিক অ্যাসিড একটি অম্লধর্মী জৈব যৌগ ও সাদা দানাদার পদার্থ। অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এর বিরুদ্ধেও কাজ করে। এছাড়াও হাড় দাঁত এবং ত্বকের টিস্যু গঠনে অংশ নেয়। এবং অতি দ্রুত শরীরের ক্ষত সারাতে ভিটামিন সি কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মারাত্মক ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকেও রক্ষা করে। যা আমরা বিভিন্ন টক ফলমূলে এবং শাকসবজিতে সবচেয়ে বেশি পেয়ে থাকি। এটা মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন সি এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যার উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব লক্ষ্য করা গিয়েছিলো।
তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখতে হবে। ফলে মানুষের যে দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদা প্রয়োজন তা পূরণ করা সম্ভব হবে। যেহেতু ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় যার ফলে শরীরে সঞ্চিত অবস্থায় থাকে না। আপনি যদি শরীরের চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করেন তাহলে তা প্রসাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। সে কারণে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করা উত্তম।
ভিটামিন সি এর উপকারিতা গুলো হলো;
- শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
- ক্ষতস্থান নিরাময় করে।
- দাঁত এবং মাড়ি সুস্থ রাখে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- গিটেবাত প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
- আয়রনের ঘাটতি রোধে সহায়তা করে।
আপনাদের শরীরে ভিটামিন সি সঠিক ভাবে পেতে হলে অবশ্যই ফলমূল শাকসবজি কাঁচা টাটকা সতেজ খেতে হবে। কারণ আপনি যদি এসব খাবার দীর্ঘদিন যাবত মজুদ রাখেন তাহলে ভিটামিন সি এর পরিমাণ কমে যেতে থাকে। আবার আপনি যদি তাপে রাখেন বা রান্না করলে এসব সবজি ফলমূল এর পুষ্টিগুণ কমে যায়। কারণ অতিরিক্ত তাপ ভিটামিনের রাসায়নিক গঠন ভেঙ্গে দেয়। ভিটামিন সি এর উপকারিতা পেতে বা ঘাটতি পূরণ করতে কাঁচা সতেজ অবস্থায় খাওয়া উচিত।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলি আলবার্ট জেন্ট গিয়র্গি ১৯১২ সালে ভিটামিন সি আবিষ্কার করেছিলেন। এই ভিটামিনই ছিল যা প্রথম রাসায়নিকভাবে প্রস্তুত করা।আলবার্ট জেন্ট গিয়র্গি ভিটামিন সি আবিষ্কার করার জন্য ১৯৩৭ সালে চিকিৎসাবিদ্যায় এবং ওয়াল্টার নরম্যান হাওরথ রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান।
ভিটামিন সি বেশি খেলে কি হয়
ভিটামিন সি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। যা আমরা প্রতিদিনের খাবার থেকে গ্রহণ করে থাকি। আমরা শরীরের অঙ্গ - প্রত্যঙ্গকে সুস্থ রাখার জন্য বেশি বেশি ভিটামিন খেয়ে থাকি যা মোটেও উচিত না। আমরা ভেবে থাকি যত ভিটামিন খাবো তত শরীরের জন্য উপকার আসলে তা কিন্তু না। অনেকেই জানেন না অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই উচিত হবে শুধু ভিটামিন সি না যে কোন ভিটামিন পরিমিত পরিমাণ খাওয়ার।
কারণ আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার শরীর কতটুকু ভিটামিন সি গ্রহণ করতে সক্ষম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ভিটামিন সি প্রয়োজন পড়ে ৪৫ মিলিগ্রাম। তার সর্বোচ্চ মাত্রা হতে পারে ২০০০ মিলিগ্রাম। ভিটামিন সি ২০০০ মিলিগ্রাম এর অধিক গ্রহণ করলে পাকস্থলী সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এজন্য ভিটামিন সি প্রাকৃতিক খাবার থেকে গ্রহণ করা।
আরও পড়ুনঃ চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে জানুন
আমরা অনেকেই আছি ভিটামিন সি খেলে শরীরের জন্য উপকার হয় এই ভেবে ভিটামিন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খেয়ে থাকি। এটা ঠিক না তবে হ্যাঁ আপনি যখন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খাবেন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার চেষ্টা করবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন সি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খেলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে ভিটামিন সি এর ক্ষেত্রে একটা সুবিধা অন্যান্য ভিটামিনের মত শরীরের বিষ হয়ে জমিয়ে রাখে না। কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণের ফলে শোষণ ক্ষমতা কমে আসে। এখন চলুন জানবো ভিটামিন সি বেশি খেলে কি হয় বা কি কি সমস্যা হতে পারে।
- মাথা ব্যথা
- ডায়রিয়া
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- তলপেটে ব্যথা হওয়া
- ঘুম কম হওয়া
- বুক জ্বালাপোড়া করা
ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর নাম
আমাদের উচিত হবে ভিটামিন সি ট্যাবলেট না খেয়ে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করা। তবে যদি চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে তাহলে চিকিৎস্যকর পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সি ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।কেননা আমরা যদি নিজ থেকে ভিটামিন সি ট্যাবলেট কিনে খাই তাহলে ক্ষতি হতে পারে। কারণ আমরা ভিটামিন সি ট্যাবলেট গুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানিনা।
বা শরীর ভিটামিন সি এর ঘাটতি আছে কিনা তা কিন্তু আমরা সহজে বুঝতে পারিনা। এজন্য ভিটামিন সি ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা তা সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাওয়া উচিত। অনেকে জানতে চান ভিটামিন সি ট্যাবলেটের নাম সম্পর্কে তাই কিছু ভিটামিন সি ট্যাবলেটের নাম নিচে দেওয়া হলো।
- ক্যাভিক - সি
- ক্যালবো - সি
- সিভিট
- লিমচি
- সিভিওন
- র্যাডিভিট - সি
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার তালিকা
ভিটামিন সি হচ্ছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে থাকে। যেমনঃ নিউক্লিয়াস, চোখের লেন্স, হাড় ও ত্বকের কোলাজনকে রক্ষা করে থাকে ভিটামিন সি। এছাড়াও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও ভিটামিন সি এর অবদান রয়েছে। দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে ভিটামিন সি এর বিকল্প কিছু নেই।
আমাদের অত্যন্ত উপকারী এই ভিটামিন সি পাওয়া যায় ফলমূল শাকসবজিতেই। তাই আজকে আমরা ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল শাকসবজি জাতীয় খাবার গুলো কি তা আমরা জানবো। নিচে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার তালিকা দেয়া হলো;
- কমলা
- আঙ্গুর
- জলপাই
- আমড়া
- বেদেনা
- লেবু
- আনারস
- তেতুল
- পেয়ারা
- জাম
- পেঁপে
- জাম্বুরা
- মালটা
- আমলকি
- কাঁচামরিচ
- বাদামি লেবু
- বাঁধাকপি
- টমেটো
- করলা
- চাল কুমড়া
- কাচা কলা
- কচু শাক
- পুঁইশাক
- ধনেপাতা ইত্যাদি
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা ভিটামিন সি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন আর্টিকেলটির মাধ্যমে ভিটামিন সি এর উৎস, দৈনিক কত গ্রাম ভিটামিন সি দরকার, এবং ভিটামিন সি এর অভাবজনিত লক্ষণ গুলো কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। এছাড়াও ভিটামিন সি এর উপকারিতা, ভিটামিন সি বেশি খেলে কি হয়, ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর নাম এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url