শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
চর্মরোগ প্রতিরোধ করার উপায় ২০২৩শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। আজকে আমরা পা ফেটে যাওয়ার কারণ কি, পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে এবং শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই দেরি না করে শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
শীত আসলে পা ফাটা শুরু হয়ে যায়। যদি দীর্ঘদিন যাবত পায়ের গোড়ালি ফাটা
অবস্থায় থাকে। তাহলে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তখন
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় অনুসরণ
করে পা ফাটা দূর করতে পারেন।
পা ফেটে যাওয়ার কারণ কি
পা ফেটে যাওয়া একটা কমন সমস্যা। আমাদের কম বেশি সবারই পা ফেটে থাকে। বিশেষ করে
শীতকালে পা ফাটার লক্ষণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পা
ফাটার বিষয়টা আরো বেশি দেখা যায়। যখন পা ফাটে তখন খুবই অস্বস্তি বোধ এবং
বিব্রতকর লাগে। বাহিরে বের হলে পা ঢাকা জুতা না পরলে দেখতে অনেক খারাপ লাগে। পা
ফাটা সাধারণত হয়ে থাকে শুষ্ক মৌসুম ও আদ্রতার ঘাটতির কারণে। যখন পা ফাটে তখন
পায়ের গোড়ালি ব্যথা করে।
এবং পা ফাটা যদি দীর্ঘদিন ধরে থাকে তাহলে ইনফেকশন হতে পারে, পা ব্যথা সহ, পা ফুলে
যায়, এবং স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়। তবে একটা কথা সত্যি যে পা ফাটা বিষয় এ
কিন্তু আমরা সবাই অবগত নয়। তো আজকে আমরা জানবো পা ফাটার কারণ কি। পা ফাটার
বিভিন্ন কারণ রয়েছে তা তুলে ধরা হলো।
- পা ফাটা অন্যতম কারণ ভিটামিন এর অভাবে।
- পানি কম পান করা এবং শুষ্ক পরিবেশে হাঁটা।
- পরিবেশের আদ্রতা কম থাকা।
- খালি পায়ে বেশি সময় থাকা এবং হাঁটা।
- ধুলাবালিতে খালি পায়ে বেশিক্ষণ কাজ করা।
- অতিরিক্ত পা ঘেমে যাওয়া। এছাড়াও
- সোরিয়াসিস রোগের কারণে হতে পারে।
- পামোপ্ল্যান্টার কেরাটোডার্মা জিনবাহিত রোগের কারণে।
- সিরিয়াসিস রুব্রা পাইলারিস জিনবাহিত রোগের প্রভাবে।
গরমে পা ফাটার কারণ
শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে আমাদের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। কিন্তু
অনেকেরই আছে গরমের সময় বলতে গেলে সারা বছরই পা ফেটে যায়। গরমে পা ফাটার বিষয়ে
স্বাস্থ্য চিকিৎসকদের মতে, এর অন্যতম কারণ হলো আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ
পানির অভাব হলে। স্বাভাবিকভাবে গরম সময় আসলে শরীর প্রচন্ড ঘেমে যায় যার ফলে
শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়।
এছাড়াও গরমকালে বায়ু দূষণ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ধুলো - ময়লা, দূষণের
কারণেও গরমের সময় পায়ের গোড়ালির চামড়া মোটা হয়ে যায় এবং পা ফাটার সমস্যা
লক্ষ্য করা যায়। সব সময় খালিপায়ে থাকা, দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ
করা, পরিমিত পরিমাণ পানি না খাওয়া এর প্রধান কারণ।
এছাড়াও একজিমা, থাইরয়েডের ব্যাধি থাকলে ভিটামিন মিনারেল এবং জিংক এর অভাবে
শরীরের শুষ্কতা বৃদ্ধি পেয়ে পা ফেটে যায়। তবে পা ফাটার সমস্যা ছেলেদের বেশি
হয়ে থাকে। ছেলেরা বাইরে বেশি চলাফেরা করে কাজকর্ম করে এছাড়াও ছেলেদের ত্বকের
শুষ্কতা বেশি হয়। শুধু ছেলে না মেয়েদেরও গরম সময়ে পা ফেটে যায়।
পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
শীতকাল আসলে পা ফাটা শুরু হয়ে যায়। অনেকের আবার সারা বছরই পা ফাটে তবে তা
শীতকালের তুলনায় অনেক কম। আপনারা কি জানেন পা ফোটার অন্যতম কারণ হলো ভিটামিনের
অভাব। অনেকেই আছে এই বিষয়ে অবগত না। তাদের জন্যই আমাদের আজকের শীতে পা ফাটা দূর
করার ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলটি। এখন চলুন পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে জেনে
নেই।
আরও পড়ুনঃ
মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই এর উপকারিতা
সম্পর্কে। ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই ত্বককে সুরক্ষা রাখতে অত্যন্ত
ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন বি, সি, ও ই এর ঘাটতি হলে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দেয়। এই সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো আমাদের পায়ের গোড়ালি ফাটা।
আমাদের সবাইকে পায়ের গোড়ালি ফাটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি দীর্ঘদিন যাবত
পায়ের গোড়ালি ফেটে থাকে সহজে ভালো হয় না তাহলে বুঝতে হবে তা হতে পারে বিভিন্ন
রোগের লক্ষণ। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
শীতকাল আসলে আমাদের সবার পা ফাটা শুরু হয়ে যায়। কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় ত্বক
হয়ে ওঠে রুক্ষ - শুষ্ক। তখন হাত-পা সহ পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। আপনি দেখতে
সুন্দর, সুন্দর ড্রেস পড়ে বাইরে যান অথচ পায়ের গোড়ালি ফাটা দেখা যায়। তখন মনে
মনে একটা বিব্রতকর লাগে। খারাপ লাগারই বিষয় আমার মনে হয় সবারই খারাপ লাগে।
তাই পা ফাটা দূর করতে ঠিকমত পায়ের যত্ন নিতে হবে। তো কিভাবে যত্ন নিবেন? আজকে
আমরা আপনাদের জন্য কিভাবে সঠিক পায়ের যত্ন নেওয়া যায় এবং শীতে পা ফাটা দূর
করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
- অলিভ অয়েল
- বেকিং সোডা
- গ্লিসারিন ও গোলাপ জল
- ভিনেগার
- লেবু
- নারিকেল তেল
- মধু
- ভিটামিন
- মোজা ব্যবহার
অলিভ অয়েলঃ পা ফাটা দূর করতে নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতিদিন অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল নিয়ে পায়ের গোড়ায় ম্যাসেজ করুন। এতে পা কে
শুষ্ক হওয়া থেকে মুক্তি দেয় এবং পা নরম রাখতে সহায়তা করে। ফলে পা ফাটা থেকে
রক্ষা করে।
বেকিং সোডাঃ বালতিতে কুসুম কুসুম গরম পানি নিয়ে সাথে তিন থেকে চার চামচ
বেকিং সোডা দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ করুন। তারপর আপনার পা ২০ - ২৫ মিনিট মিশ্রণ করা
পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন এবং কাপড় দিয়ে
মুছে ফেলুন। পা শুকিয়ে গেলে তখন পায়ে ময়েচ্ছারাইজার ব্যবহার করুন। এভাবে
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলঃ শীতকালে পা কে নরম মৃসণ রাখতে সহায়তা করে। এবং পা
ফাটা রোধে খুবই কার্যকরী। দ্রুত উপকার পেতে প্রতিদিন একটি বাটিতে এক চামচ
গ্লিসারিন এর সাথে দুই চামচ গোলাপ জল এবং লেবুর রস মিশ্রণ করে রাতে পায়ের
গোড়ালিতে লাগিয়ে রাখুন। কিছু দিনের মধ্যে দেখবেন পা ফাটা দূর হয়ে গেছে।
ভিনেগারঃ রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই ভিনেগার ব্যবহারের
ফলে পা ফাটা দূর হয়ে যাবে। ভালো ফলাফল পেতে ২-৩ ফোটা আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে
এক চামচ মধু এবং তিন টেবিল চালের গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ করুন। এরপর
বালটিতে অথবা গামলাতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে ১৫ মিনিটের মত পা পানিতে ডুবিয়ে
রাখুন। তারপর পা মুছে মিশ্রণ করা ভিনেগার লাগান। যখন পার শুকিয়ে যাবে তখন ধুয়ে
ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করলে পা ফাটা অনেকটা কমে যাবে।
লেবুঃ আমরা সবাই জানি লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে। আর ভিটামিন সি ত্বকের
সৌন্দর্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। তাই ঘুমানোর আগে লেবুর রসের সাথে অল্প পরিমাণ
ভ্যাসলিন মিশিয়ে নে পায়ে লাগে ঘুমিয়ে পড়ুন। কিছুদিন ব্যবহার ফলে দেখবেন পা
ফাটা দূর হয়ে গেছে।
অ্যালোভেরা জেলঃ পায়ের ফাটা রোধ করতে ঘুমানোর আগে পা পরিষ্কার করে
অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। পায়ের ফাটা দূর করতে সহায়তা করবে। কারণ আমরা সবাই
জানি অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
নারিকেল তেলঃ পা ফাটা দূর করতে নারিকেল তেল অনেক ভালো কাজ করে। তাই
প্রতিদিন নারিকেল তেল দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ম্যাসেজ করুন। দেখবেন পায়ের শুষ্ক
ত্বক দূর হয়ে গেছে।
মধুঃ পা ফাটা দূর করতে গামলাতে কুসুম কুসুম গরম পানির ঢালুন তারপর সাথে এক
কাপ সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর গামলাতে পা দিয়ে ২৫ - ৩০ মিনিট ডুবিয়ে
রাখুন। পায়ের চামড়া যখন হালকা নরম হবে তখন দু পায়ের গোড়ালি দিয়ে স্ক্রাব
করুন।
ভিটামিনঃ ত্বককে সুরক্ষা রাখতে ভিটামিন অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তাই
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন
ই গ্রহণ করুন।
মোজা ব্যবহারঃ শীতকাল আসলে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায়। এজন্য পায়ের ত্বক
যেন তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে না যায় সেজন্য ভালো মানের পায়ের মোজা ব্যবহার করতে
পারেন।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম এর নাম
আপনারা কি পা ফাটা দূর করার ক্রিমের নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের এই
পর্বটি আপনাদের জন্য। আপনার নিশ্চয়ই বাজারের বিভিন্ন ব্যান্ডের পা ফাটা দূর করার
ক্রিম সম্পর্কে অবগত আছেন। আবার অনেকেই আছেন ক্রিম সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই।
আপনাদের কথা চিন্তা করে বাজারে পাওয়া যায় এবং দামেও সহনশীল এমন পায়ের গোড়ালি
ফাটা রোধে কার্যকরী ক্রিমের নাম তুলে ধরা হলো।
- হিমালয়া অয়েলনেস ফুট কেয়ার ক্রিম
- পতঞ্জলি ক্রাক হিল ক্রিম
- অ্যাাভন ফুটওয়ার্কস ক্র্যাকডহিল রিলিফ ক্রিম
- হিলমেট ক্র্যাকডহিল রিপেয়ার স্পেশালিস্ট ক্রিম
- ভাদি হারবালস ফুট ক্রিম
- খাদি জ্যাসমিন অ্যাান্ড গ্রিনটি হারবাল ফুট ক্রিম
প্রতিটা ক্রিমই পা ফাটা দূর করতে অনেক উপকারী। এসব ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বককে
রুক্ষ ও শুষ্ক থেকে মৃসণ নরম করে তোলে। ক্রিম গুলো ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই
পায়ের গোড়ালি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর ঘুমানোর পূর্বে ক্রিমগুলো
লাগিয়ে নিন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া আপনারা চাইলে ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পা ফাটা দূর করতে পারেন। যা আমরা
আপনাদের জন্য শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় পর্বটিতে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। এতে করে অপচয় হবে না আবার মনের মধ্যে সন্দেহ হবে না যে এই ক্রিম ব্যবহার
করে উপকার পাবো কিনা।
পা ফাটার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা যেকোনো রোগের চিকিৎসা করাতে হোমিওপ্যাথি ওষুধের
উপর নির্ভর করে। কারণ হোমিওপ্যাথির ওষুধের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়ে থাকে
পাশাপাশি অনেক কার্যকরী। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে দীর্ঘদিন যদি পা ফাটা থাকে তখন
বুঝবেন কোন রোগের লক্ষণ। কারণ আমরা আগের পর্বে জেনেছি বিভিন্ন রোগের কারণেও পা
ফেটে থাকে।
তাই আমাদের সকলের উচিত হবে দীর্ঘ সময় পা ফাটা রোধে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
ওষুধ সেবন করা। আপনারা জানতে চেয়েছেন পা ফাটার হোমিওপ্যাথি ঔষধ সম্পর্কে। তাই
আজকে আমরা আপনাদের কথা চিন্তা করে পা ফাটা দূর করতে পা ফাটার হোমিওপ্যাথি ঔষধ এর
নাম তুলে ধরলাম।
- পেট্রোলিয়াম
- গ্রাফাইটিস
- এনাকারর্ডিয়াম অক্সিডেন্টাল
- সালফার
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনারা কখনো নিজে নিজে ওষুধ কিনে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধই সেবন করা উচিত না।
শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় - শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা শীতে পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলের
মাধ্যমে পা ফেটে যাওয়ার কারণ কি, পা ফোটা দূর করার ক্রিম এর নাম, পা ফাটে কোন
ভিটামিনের অভাবে এবং কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে পা ফাটা দূর করা যায় তা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে
উপকৃত হবেন।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url