কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় জেনে নিন
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর কাপেআমাদের শরীরের জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। আর সেই ঘুম যদি সঠিক মত না হয় তাহলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের বাসা বাধা শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে যদি কারো ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত এর সমাধান করা উচিত। কি কারনে সমস্যা হতে পারে তা খুঁজে বের করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ঘুম আসেনা এই সমস্যা প্রতিটা মানুষের ভিতরে লক্ষ্য করা যায়,বিশেষ করে তরুণ - তরুণীদের মাঝে এই প্রভাব দেখা যায়। নীচে কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হতে পারে তা সম্পর্কে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
রাতে ঘুম আসে না কেন
বর্তমানে মানুষের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের ফলে শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ বাসা বাঁধে। যার অন্যতম হলো ঘুম না হওয়া। বিশেষ করে তরুণ - তরুণীদের মাঝে দেখা গেলও মধ্যবয়স্ক মানুষদের মাঝেও ঘুম না হওয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গেলে শুরুতে আসে বদ অভ্যাস।
এছাড়াও পারিবারিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত, অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া রোগে আক্রান্ত। শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম কারণ হলো ঘুম।
এই ঘুম যদি ঠিক মত না হয় তাহলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে চোখের নিচে কালো দাগ, শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, সারাদিন ঝিমায়, দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া এই কারণগুলোকে মূলত অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া বলে থাকে। ঘুম আসে না কেন এর কারণগুলো কি কি জেনে নেই,
- সিডিউল মেনে না চলা।
- রুমের তাপমাত্রা বেশি থাকা।
- আলো জ্বালিয়ে রাখা।
- দুশ্চিন্তা করা ও বিষন্নতা।
- অতিরিক্ত ধূমপান করা।
- ক্যাফেইন গ্রহণ করা।
- অ্যালকোহল পান করা।
- শব্দ হাওয়া।
- ঘুমানোর পজিশন ঠিক না থাকা।
- শারীরিক ব্যায়াম না করা।
- ভিটামিন ডি এর অভাব।
- অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হাওয়া।
রাতে ঘুম না হলে করনীয়
আপনার শরীর অনেক ক্লান্ত ঘুম হওয়া খুব দরকার। কিন্তু ঘুম আসছে না প্রায় মানুষের এই সমস্যা দেখা যায়। তাই ঘুমানোর আগে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে অনিদ্রা সমস্যা দূর হতে পারে। এবার চলুন, ঘুম না আসলে করণীয় কি জেনে নেই।
- ঘুম না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো সময় মতো না ঘুমানো। সবারই প্রায় এই সমস্যা একটা নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী ঘুমানোর চেষ্টা করি না। তাই উচিত হবে প্রতিদিন একই টাইমে ঘুমাতে যাওয়া।
- তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চাইলে অবশ্যই সেই স্থান যেন ঠান্ডা থাকে। ঘুমানোর সময় ঘর গরম থাকলে ঘুমের সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঘুমানোর সময় ঘর গরম থাকলে বিশেষ করে বালিশ ও বিছানা গরম থাকলে সেই স্থান ঘুমের জন্য উপযুক্ত নয়। ঘুমানোর জন্য ঠান্ডা ঘর এবং বিছানা ঠান্ডা নির্বাচন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
- প্রতিদিন অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট হলেও হালকা ব্যায়াম করুন। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন প্রতিদিন দিনের শুরুতে ব্যায়াম করলে সেটি শরীর কে প্রানচঞ্চল ও সক্রিয় করে তোলে। এতে রাতে ঠিক মত ঘুম আসতে সাহায্য করে। এছাড়া অবশ্যই দিনের ঘুম পরিহার করতে হবে। কারণ দিনের ঘুম রাতের ঘুম হওয়ার বিঘ্ন ঘটায়।
- রাতে ঘুম না হওয়ার অন্যতম কারণ দুশ্চিন্তা বা মানসিক অশান্তি। যা হতে পারে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত। তাই আমাদের সকলেরই উচিত দুশ্চিন্তা না করা। দুশ্চিন্তা বা মানসিক অশান্তি দূর করতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবেন।
- যারা অতিরিক্ত মদক সেবন করেন আপনারা মাদক সেবন থেকে বিরত থাকবেন। ঘুম না আসার কারণ হল অতিরিক্ত মাদক সেবন। এছারাও ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা, কফি, নিকোটিন জাতীয় সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন। এগুলাই আপনার রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণ হতে পারে।
- আপনি যেখানে ঘুমাবেন অবশ্যই যেন বাইরের শব্দ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। অর্থাৎ কোলাহল মুক্ত পরিবেশে ঘুমানোর স্থান করতে হবে। এতে করে ঘুমের মধ্যে বিঘ্ন ঘটবে না আপনার ঘুম ঠিক মতো হবে।
- প্রতিদিন অন্তত মিনিমাম ৩০ মিনিট যেন সূর্যের আলো আপনার শরীরে লাগে। এতে আপনার মস্তিষ্কে দিন ও রাতের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে সাহায্য করবে। আপনার ঘুম তখনই ঠিকমতো হবে যখন আপনার মস্তিষ্ক দিন ও রাতের পার্থক্য ঠিকমতো বুঝতে পারবে।
- অনেক সময় শরীরের মধ্যে ভিটামিনের ঘাটতি থাকলে ঘুম আসে না। তাই অবশ্যই ঘুম না আসার জন্য রেজিস্টার্ড পরামর্শ নিবেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
একটি মানুষের যখন সঠিকভাবে ঘুম না হয় এবং যদি দীর্ঘদিন যাবত পরিপূর্ণ ঘুম না
হয়। এ অবস্থা যদি চলমান থাকে। তাহলে সেই ব্যক্তি একসময় বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক
রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না হওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন
ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। তাই ধারাবাহিকভাবে যদি ঘুম না হয় রেজিস্টার ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হবে।
তো এবার চলুন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হতে পারে আমরা জেনে নেই,তবে অনেকেই এই
বিষয়টা হয়তো জানেই না যে ভিটামিনের অভাবেও ঘুম কম হতে পারে। হ্যা হতে পারে
ভিটামিন ডি - এই ভিটামিন ডি মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। ঘুম স্বাভাবিক
রাখতে মেলাটোনিম প্রয়োজন।তাই ভিটামিন ডি এর অভাবে ঘুমের সমস্যা দেখা যায়।
অনেকেরই জানা আছে মানসিক অবসাদের কারণেও কিন্তু ঘুম কম হয়। আর এই মানসিক অবসাদ
ভিটামিন ডি এর অভাবেও হয়ে থাকে। এছারাও ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন
বি১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এর অভাবে ঘুম কম হয়ে থাকে।
ঘুম না আসার কারণ
আমরা সকলেই জানি,একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে নুন্যতম ৭-৮
ঘন্টা ঘুম পাড়া প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবে এর চেয়ে কম অর্থাৎ দিনে ৬ ঘণ্টার কম
ঘুমালে স্বাস্থ্য অবনতির কারণ হতে পারে তবে বয়স অনুযায়ী পার্থক্য থাকে। যেমন
শিশুদের ক্ষেত্রে ৯-১৩ ঘন্টা,নবজাতক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১২-১৭ ঘন্টা। পরিমিত ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এবং শরীর থেকে
টক্সিন নামক। পদার্থ কে বের করে কর্মক্ষমতা কি বৃদ্ধি করে। তাই শরীর সুস্থ
রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোন বিকল্প নেই। রাতে ঘুম না আসা বা ঘুম আসলেও ভেঙে
যাওয়া এই সমস্যাকে মূলত ইনসমনিয়া অনিদ্র রোগ বলা হয়ে থাকে। এই রোগ সব বয়সের
মানুষদের হতে পারে।
এ পর্যন্ত ১৫৩ টি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ওজন বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। এবার চলুন ঘুম না আসার উল্লেখ্য কিছু কারণ আপনাদের মাঝে তুলে ধরি,
- সিডিউল মেনে না চলা।
- রুমের তাপমাত্রা বেশি থাকা।
- আলো জ্বালিয়ে রাখা।
- দুশ্চিন্তা করা ও বিষন্নতা।
- অতিরিক্ত ধূমপান করা।
- ক্যাফেইন গ্রহণ করা।
- অ্যালকোহল পান করা।
- শব্দ হাওয়া স্থানে ঘুমানো।
- শারীরিক ব্যায়াম না করা।
- ভিটামিন ডি এর অভাব।
- অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হাওয়া।
রাতে ঘুম না আসার প্রতিকারঃ
ঘুম হল একজন মানুষের সুস্থ্য থাকার নিয়ামক। তাই সঠিকভাবে ঘুমাতে চাইলে অবশ্যই নিয়ম করে ঘুমাইতে হবে। অনেকে আবার ঘুম আসার জন্য স্লিপি পিল বা ঘুমের বড়ি খেয়ে থাকেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। ধিরে ধিরে তা অভ্যাসে পরিণিত করে ফেলে। ফলে পরবর্তীতে ঘুমের বড়ি না খেলে আর স্বাভাবিক ঘুম হয় না। এবার চলুন ঘুম না আসার প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেই,
আরও পড়ুনঃ মাথা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- প্রতিদিন অবশ্যই নির্দিষ্ট টাইম অনুযায়ী ঘুমাইতে হবে। রাতে যে সময় ঘুমান পরের রাত ঠিক ওই টাইম অনুযায়ী ঘুমাইতে হবে।
- অনেকেই আছে যাদের চা কফি খেলে ঘুমের সমস্যা হয়। সকালে খাইতে পারেন কিন্তু ঘুমানোর আগে চা,কফি বর্জন করুন। এতে ঘুমের সমস্যা হবে না। প্রফেসর ওয়াকার বলেছেন, অন্তত ১২ ঘণ্টা আগে এসব খাওয়া বন্ধ করা উচিত।
- ঘুমানোর স্থান ঠান্ডা থাকতে হবে। আপনে যেখানে ঘুমাবেন সেখানে যেন আলো বাতাস প্রবেশ করে। বন্ধ ঘরে কখনোই ঘুমাবেন না এবং বিছানা বালিশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ঠান্ডা যেন থাকে। ঘুমানোর জন্য ঠান্ডা ঘর এবং বিছানা ঠান্ডা নির্বাচন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
- অথবা এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে হবে। যখন একটু ঘুম আসছে মনে হচ্ছে তখনই ঘুমিয়ে পড়তে হবে।ঘুম না হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার হচ্ছে ঘুমোনোর আগেই সুরা তেলাওয়াত করে নিন। যা আপনার ঘুমের জন্য সবচেয়ে ভূমিকা রাখবে।
- ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমানো যাওয়া উচিত না। এবং দুপুরে কখনোই ঘুমাবেন না দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম না হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
- প্রতিদিন নিয়মিত করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম করবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মস্তিষ্ক উৎফল্ল থাকে যা ঘুম আসতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট রোদের আলোতে থাকবেন। আপনার মস্তিষ্ক যেন রাত ও দিনের পার্থক্য বুঝতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় যারা ধূমপান করে তারা ধূমপান ত্যাগ করবেন। নিকোটিন গ্রহণের ফলে ঘুম কম হয়ে থাকে।
- যারা অতিরিক্ত হতাশা দুশ্চিন্তা ও মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। প্রকৃতপক্ষে তাদের ঘুম কম হয়। তাই এসব দূর করতে মানসিক ডাক্তারের কাজ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন ।
- আমরা হয়তো অনেকেই জানি ভিটামিনের কারণেও ঘুম আসে না তাই দীর্ঘদিন যাবত ঘুম না আসলে অবশ্যই রেজিস্ট্রেট ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়াও বর্তমানে তরুণ - তরুণী অথবা মধ্যবয়স্ক পুরুষ - মহিলাদের মাঝেও
অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে সময় মত
ঘুমানোর ইচ্ছা থাকলেও অভ্যাসের কারণে তা করতে পারে না। তাই উচিত
হবে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কম করা।
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম
আমরা অনেকেই রাতে ঘুম না আসাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়ে থাকি। কিন্তু এটা একটা রোগ যা আমরা অনেকেই জানিনা। তো এবার চলুন রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম জেনে নেই। রাতে ঘুম না আসলে বা আসলেও মাঝে মাঝে ভেঙে যায় এই সমস্যাকে মূলত ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা রোগ বলা হয়ে থাকে। এর ফলে দিনের বেলা ঘুমানো,সারাদিন মেজাজ খিটখিটতে, ঝিমুনি, অলসতা,কাজে মনোযোগ দিতে না পারা। সব বয়সী মানুষদের মধ্যেই এই রোগ হতে পারে।
গভীর ঘুমের ঔষধের নাম কি
আমাদের ঠিকমত ঘুম হয় না বিশেষ করে রাতের বেলা এই অবস্থা ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকলে শরীরের বিভিন্ন রোগ দেখা যায়। দিনে শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকে কাজে মন বসে না, শরীর ঝিমানো,অলসতা দেখা দেয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে, ডাক্তারেরা বিভিন্ন ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন। তো চলুন এসব ঘুমের ওষুধের নাম আমরা জেনে নেই,
- Siesta
- Norry
- Zepam
- Tenil
- Nightus
- Restol
- Laxyl
- Lexotanil
- Bopam
- Tynaxie
- Zerotens
- Lexopil
শেষ কথা
ঘুম পাড়তে কে না ভালোবাসে। আর এই ঘুম যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে শরীর মন কোনটাই ভালো থাকে না। দীর্ঘদিন সময় ধরে যদি ঠিকমতো ঘুম পারতে না পারেন তাহলে শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ বাসা বাঁধে। যা আমরা আজকের লেখার মাধ্যমে ঘুম না হওয়ার কি কি কারণ থাকতে পারে এবং প্রতিকার কি তা আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আশা করছি, আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়েছেন।
ড্রিমসসেফ আইটিির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url